লালা নিষিদ্ধ হওয়ায় উত্তরসূরিদের সুযোগ দেখছেন কুম্বলে

নিজের সিদ্ধান্তে সবার ভালো হবে বলেই ভাবছে কুম্বলে। ফাইল ছবি
নিজের সিদ্ধান্তে সবার ভালো হবে বলেই ভাবছে কুম্বলে। ফাইল ছবি

করোনা পরবর্তী বিশ্ব ক্রিকেট চালু করার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা ভেবে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে কাজটি করেছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। লালা নিষিদ্ধ হওয়ায় স্পিনারদের সুবিধাদেখছেন সাবেক এই স্পিনার।

কুম্বলের কমিটি লালা নিষিদ্ধ করলেও তাঁর জানা আছে এর প্রয়োগ ঘটানো সহজ হবে না। পুরোনো অভ্যাস থেকে বের হতে ক্রিকেটারদের অনেক বেগ হতে বলে মনে করেন  তিনি। এমনকি এই অভ্যাস চালু করতে ক্রিকেটারদের অন্তত এক মাসের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার কথাও জানিয়েছিল কুম্বলের ক্রিকেট কমিটি।

ইএসপিএন ক্রিকেইনফোর ভাষ্য অনুযায়ী কুম্বলে বলেছেন, 'চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা বিশ্বাস করি করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে লালার ভূমিকা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই আমরা এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি। যদিও ক্রিকেটে এটা দ্বিতীয় সহজাত বিষয়। এটি এমন একটি বিষয় যা খেলোয়াড়দের মেনে চলা কঠিন হবে।'

সাধারণত বলের চকচকে ভাব ও  সুইংয়ের কারিশমা দেখানোর জন্য লালার ব্যবহার করে থাকেন পেস বোলাররা। এখন লালা নিষিদ্ধ হওয়ায় স্পিনারদের সুবিধে দেখছেন সাবেক স্পিনার কুম্বলে, 'আপনি সাধারণ পিচের ঘাস তুলতে পারেন এবং রুক্ষ হলে দুইজন স্পিনার খেলাতে পারেন। চলুন টেস্টে স্পিনারদের ফিরিয়ে আনি। কারণ এটি যদি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি হয়, তাহলে বলের চাকচিক্য নিয়ে আপনার চিন্তা থাকার কথা নয়।'