প্রতিবাদে সাদা-কালো মিলেমিশে একাকার হোক

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে প্রতিবাদ করায় জেডন সাঞ্চোর প্রশংসা করেছেন কিমিখ। ফাইল ছবি
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে প্রতিবাদ করায় জেডন সাঞ্চোর প্রশংসা করেছেন কিমিখ। ফাইল ছবি

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশি হেফাজতে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের মৃত্যুতে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কালো মানুষই প্রতিবাদে মুখর নন, পুরো বিশ্বেই উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। বিভিন্নভাবে এমন করুণ মৃত্যুর প্রতিবাদ করছেন জার্মানির বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়েরাও। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান মিডফিল্ডার ইয়োশুয়া কিমিখ চাইছেন, এই প্রতিবাদে কালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে এগিয়ে আসুক তাঁদের সাদা সতীর্থরাও।

বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়দের মধ্যে ফ্লয়েডের মৃত্যুতে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন জেডন সাঞ্চো, মার্কাস থুরাম, আশরাফ হাকিমি ও ওয়েসটন ম্যাককেনি। প্রথমে জার্মান এফএর এই খেলোয়াড়দের প্রতিবাদ পছন্দ হয়নি। তবে বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ ভালোই লেগেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার। এরপর তো কাল জার্মান এফএ বলেছে, সাঞ্চো, থুরাম, হাকিমি, ম্যাককেনিদের কোনো শাস্তি দেবে না তারা।

জার্মান এফএর এমন ঘোষণার দিনে প্রতিবাদের কণ্ঠটা যেন আরও জোরালো হয়েছে কিমিখের। রাইটব্যাক থেকে বায়ার্নের মিডফিল্ডার বনে যাওয়া জার্মান বলেছেন, ‌'খুব ভালো লাগছে যে শুধু একজন খেলোয়াড়ই প্রতিবাদ করেননি। আসলে এটা হতে পারে যে আমরা দল হিসেবে প্রতিবাদ করতে পারি। ফুটবল একটা আদর্শের মতো। ফুটবলে বর্ণবাদের কোনো জায়গা নেই।'

সাঞ্চোর প্রতিবাদ করাটা খুব ভালো লেগেছে কিমিখের, ‌'আমরা একটা বিশ্ব, একটা ক্লাব, একটা দল। এটা কোনো ব্যাপার নয় যে আপনি কালো, নাকি সাদা। একজন ফুটবলার হিসেবে সাঞ্চোর মতো আমাদের সবারই একটা শক্তি আছে। আমরা সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি। মানুষের আদর্শ হতে পারি এবং কিছু বলতেও পারি।'

গত রোববার পাডারবোনের বিপক্ষে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জয়ের পর নিজেদের জার্সি খুলে ফেলেন সানচো ও হাকিমি। জার্সির নিচে পরা দুজনের গেঞ্জিতেই লেখা ছিল, ‌'জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায় বিচার চাই আমরা।' থুরাম বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের হয়ে বার্লিন ইউনিয়নের বিপক্ষে গোল করার পর এক হাঁটু মাটিতে গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানান। আর শালকের আমেরিকান মিডফিল্ডার বাহুবন্ধনীতে লিখে নিয়ে আসেন, ‌'জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায় বিচার চাই।'