'বাংলাদেশে খেলা ছিল সবচেয়ে কঠিন'

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালেন্স। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালেন্স। ছবি: এএফপি
>বাংলাদেশের কন্ডিশনে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালেন্সের খেলা সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। তবে ২৩ টেস্টের ছোট্ট ক্যার‍িয়ারে প্রায় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে গ্যারি ব্যালেন্সের। উপমহাদেশে সফর করার অভিজ্ঞতা একবারই হয়েছে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। সেটাও আবার বাংলাদেশে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন ৩০ বছর বয়সী ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটার। বাংলাদেশে একবার খেলেই ভয় পেয়ে বসেছিল ব্যালেন্সের। তাঁর ছোট্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নাকি বাংলাদেশেই হয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যালেন্স তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। সেখানেই উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ , 'আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশনের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমি সেখানে অনেক ভুগেছি। নিউজিল্যান্ড সফরে যতটা না ভুগেছিলাম তাঁর চেয়েও বেশি। আমরা চট্টগ্রামে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম, সেখানে ৭ জন পেসার খেলায় বাংলাদেশ। স্পিনের বিপক্ষে খেলার সুযোগই তেমন আসেনি।'

টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পেস সামলে ম্যাচে গিয়ে ব্যালেন্সকে সামলাতে হয়েছিল সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে। স্পিন স্বর্গে বাংলাদেশি স্পিনের বিপক্ষে ব্যালেন্স দেখেছেন সর্ষে ফুল। ২ টেস্টে ৪ ইনিংসে মাত্র ২৪ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। প্রতিবারই আউট হয়েছিলেন স্পিনের বিপক্ষে। তিনবার মেহেদী এবং একবার তাইজুলের বলে আউট হন।

ব্যালেন্সের দোষও দেওয়া যায় না! ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ক্রিকেটই তিনি খেলেছেন ইংল্যান্ডে। উপমহাদেশে প্রথমবার খেলতে এসেই সামলাতে হয়েছে বিষাক্ত স্পিন। তবে ব্যালেন্সের ক্যারিয়ার বেশিদূর এগোয়নি ধারাবাহিকতার অভাবে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে ব্যালেন্সের শর্ট বল ও স্পিনের বিপক্ষে দুর্বলতা বেরিয়ে আসতে বেশিদিন লাগেনি। ২০১৮ সালের অ্যাশেজ দলে ছিলেন তিনি। এরপর আর দলে ফেরা হয়নি ব্যালেন্সের।