সেদিন কথাই বলেননি সাকিব-মাহমুদউল্লাহ!

সেই অবিস্মরণীয় জুটির মুহূর্ত। ছবি: এএফপি
সেই অবিস্মরণীয় জুটির মুহূর্ত। ছবি: এএফপি

সে রাতে অবিস্মরণীয় এক জুটি দেখেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের ৯ জুন। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের জুটির ওপর ভর করে এক দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঠান্ডা মাথায়, দেখে–শুনে খেলে দুজন ভেস্তে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের উৎসব প্রস্তুতি। আজ তিন বছর পর ক্যালেন্ডারের সেই একই তারিখ অনেক ক্রিকেটপ্রেমীকেই স্মৃতিকাতর করে তুলছে। ২৪৪ রানের সেই জুটিতে নাকি সাকিব–মাহমুদউল্লাহ পরস্পরের সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলেননি। চুপচাপ নিজেদের কাজটা করে গিয়েছিলেন তাঁরা।

৮ উইকেটে গড়া নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রানের জবাবে দর্শকেরা ঠিকমতো জায়গায় বসতে না বসতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। প্রথমে ১২ রানের মধ্যে ৩টি। স্কোরবোর্ডে ৩৩ উঠতে না উঠতেই নেই ৪ উইকেট। তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম প্যাভিলিয়নে। এমন একটা ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে কী অসাধারণ ব্যাটিংই না করেছিলেন সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ। ২২৪ রানের জুটিতে জোড়া সেঞ্চুরি। সাকিব ১১৫ বলে ১১৪ (১১ বাউন্ডারি, এক ছক্কা), মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ১০২ (১০৭ বলে, ৮ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায়)।

সে ম্যাচে নিজেদের মধ্যে যে সাকিব–মাহমুদউল্লাহ তেমন কোনো কথা বলেননি, সেটা ম্যাচ শেষেই জানা গিয়েছিল। মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন তাঁদের সেই জুটির বিশেষত্বটা, ‘জুটিটির বিশেষ দিক হলো আমরা নিজেদের মধ্যে খুব বেশি কথা বলিনি। কেবল ব্যাটিংটাই করে গিয়েছি। থাকতে চেয়েছিলাম সব সময়ই ইতিবাচক।’

বল বুঝে খেলাও ছিল সে জুটির বিশেষ দিক। মাহমুদউল্লাহ সেটিও বলেছিলেন, ‘আমরা মারার বল মেরেছি, ছাড়ার বল ছেড়েছি। ভালো বলকে দেখেশুনে খেলেছি। শুরুতে বল সুইং করেছিল, বল থেমে থেমে ব্যাটে আসছিল। আমরা কেবল বল ব্যাটে আসতে দিয়েছি, এরপর জায়গা বুঝে মেরেছি।’

সেই ২২৪ রানের জুটি ছিল ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশের কোনো ২০০ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সেদিন সাকিব–মাহমুদউল্লাহ ভেঙেছিলেন সাকিব–মুশফিকের ১৪৮ রানের জুটি।

২০১৪ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিল সেই জুটিটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির রেকর্ডও সেটি। সাকিব–মাহমুদউল্লাহর আগে এই টুর্নামেন্টে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা ও রুনাকো মর্টনের ১৩৭ রানের জুটি। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রিকি পন্টিং ও শেন ওয়াটসনের ২৫২ রানের জুটির পর, সাকিব–মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেটে ২২৪-ই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। আরেকটি ২০০ রানের জুটি আছে। সেটি ২০০৯ সালেই সেঞ্চুরিয়নে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ ইউসুফ ও শোয়েব মালিকের ২০২ রান