'বাঙালিরা সাহসী, বুদ্ধিমান, মানসিকভাবেও শক্তিশালী'

বাঙালিদের দারুণ ভক্ত শোয়েব। ফাইল ছবি
বাঙালিদের দারুণ ভক্ত শোয়েব। ফাইল ছবি

 ক্যারিয়ারে অনেক অধিনায়কের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে শোয়েব আখতারকে। পাকিস্তানের গতিতারকা কখনো খেলেছেন স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিংয়ের বিপক্ষে। কখনো বা সৌরভ গাঙ্গুলী, গ্রায়েম স্মিথ, স্টিভেন ফ্লেমিং, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়কের বিপক্ষে। কিন্তু এতসব সেরা তারকাদের মধ্য থেকে সেরা অধিনায়ক বাছাই করতে গিয়ে সৌরভকেই বেছে নিয়েছেন রাওয়ালিপিন্ডি এক্সপ্রেস।

 হ্যালো অ্যাপ নামের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে শোয়েবের মন্তব্য, 'আমার দেখা ভারতের সেরা অধিনায়কের নাম সৌরভ গাঙ্গুলী। ধোনিও খুব ভালো অধিনায়ক। তবে, যে সময়ের কথা আমি বলছি, সে সময় আমার মনে হত না পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জিততে পারে। ১৯৯৯ সালে কিন্তু আমরা ভারতের সঙ্গে অনেক ম্যাচ জিতেছি। সৌরভ ভারতের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে দলটা পাল্টে যেতে শুরু করে।'

 ক্যারিয়ারে ১৪৬টি ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করা সৌরভ জিতেছিলেন ৭৬টি ম্যাচ। ৩১১ ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজার ৩৬৩ রান, ১১৩ টেস্টে রান ৭ হাজার ২১২। ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়কও সৌরভ।

 ২০০৪ সালে সৌরভের ভারতকে দেখে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল শোয়েবের, 'ওই সময় ভারত অন্য রকম ক্রিকেট খেলছিল। আমাদের বিরুদ্ধে সেটাই প্রমাণ করেছিল সৌরভের দল। ওয়ান ডে ক্রিকেটে আমার দেখা ও অন্যতম সাহসী ওপেনার, যে আমাকে খেলতে কখনও সমস্যায় পড়েনি।' শুধু তাই নয়, বাঙালিদের সম্পর্কেও যে বেশ ভালো ধারণা পেয়েছেন শোয়েব এর পেছনেও ছিল সৌরভের অধিনায়কত্ব, 'বাঙালিরা সাহসী, মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী হয়। যে জন্য সৌরভ এত বুদ্ধিমান। ওরা যেমন দিলখোলা, তেমনই বাহাদুর। সবাইকে আপন করে নিতে পারে। অসম্ভব বুদ্ধিমানও হয় বাঙালিরা। আমি বাঙালিদের অসম্ভব ভক্ত।'

 পাকিস্তান কখনোই বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে পারেনি। কিন্তু অন্য যে কোনো টুর্নামেন্টে ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালের স্মৃতিচারণা করে শোয়েব বলছিলেন, 'আমি কখনোই ভাবিনি যে বিশ্বকাপের বাইরে ভারত আমাদের হারাতে পারে। আমি ১৯৯৯ সালে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। চেন্নাইয়ে জিতলেও দিল্লিতে হেরেছিলাম। কিন্তু কলকাতায় আমরা আবার জিতে ওয়ানডে সিরিজটাই জিতে যাই। এরপর শারজাহতেও জিতেছিলাম।'