টি-টোয়েন্টি হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস

অর্জুনা রানাতুঙ্গার কাছে টি–টোয়েন্টি হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস। ফাইল ছবি
অর্জুনা রানাতুঙ্গার কাছে টি–টোয়েন্টি হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস। ফাইল ছবি

অর্জুনার রানাতুঙ্গার কথা উঠলে সবার আগে মনে পড়ে ১৯৯৬ গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ছবি। পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর কাছ থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতা শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক— ছবিটা অক্ষয় হয়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানাতুঙ্গার সবচেয়ে সুখের স্মৃতি রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেই। টি–টোয়েন্টির আবির্ভাবের আগেই ক্যারিয়ার শেষ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন সংস্করণটা খেলা হয়নি তাঁর।

এ নিয়ে অবশ্য কোনো আফসোস নেই শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের। ক্রিকেটের এই সংস্করণটা এমনিতেও অত পছন্দ নয় তাঁর। রানাতুঙ্গার কাছে টি–টোয়েন্টি হলো ধর–মার–কাট ক্রিকেট। যেটাকে তিনি তুলনা করেছেন তিন মিনিটে রান্না হওয়া ইনস্ট্যান্ট নুডলসের সঙ্গে। তাঁর কাছে বরং টেস্ট ক্রিকেটটাই সবচেয়ে ভালো। বার্তা সংস্থা এএফপিকে কাল সেটিরই ব্যাখ্যা দিলেন রানাতুঙ্গা, 'টেস্ট ক্রিকেট হলো মায়ের হাতে বানানো খাবার। অনেক যত্ন করে, সময় নিয়ে বানানো তা। অন্যদিকে টি–টোয়েন্টি হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস।'

তবে রানাতুঙ্গাও স্বীকার করেছেন এই 'ইনস্ট্যান্ট নুডলস' ক্রিকেটই বদলে দিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটিংকে, 'বেশি না, ১০ বছর আগেও টেস্টে ব্যাটসম্যানরা নির্ভেজাল আলগা বলের জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু এখন ভালো বা অর্ধেক ভালো পেলেই শট খেলে। কারণটা পরিষ্কার, টি–টোয়েন্টির প্রভাব।'

রানাতুঙ্গার মতো বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার ও ভারতের রাহুল দ্রাবিড়ও মনে করেন টি–টোয়েন্টি এসে বদলে দিয়েছে টেস্টের ব্যাটিং। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল অবশ্য টি–টোয়েন্টির পাশে পাটা উইকেটেরও অবদান দেখেছেন টেস্টে রানের গতি বাড়ার পেছনে, 'এর একটা কারণ হলো পাটা উইকেট। এখন তো সবুজ উইকেট দেখাই যায় না প্রায়। সবচেয়ে বড় কারণটা অবশ্য সীমিত ওভারের ম্যাচ।'

'দ্য ওয়াল' দ্রাবিড় মনে করেন টি–টোয়েন্টির মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের প্রভাবেই আরও আকর্ষণীয় হয়েছে টেস্টের ব্যাটিং, 'আমার বিশ্বাস যে কোনো সময়ের চেয়ে টেস্ট ব্যাটসম্যানশিপ এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়, অনেক বেশি ইতিবাচক। মানুষ এখন টেস্টেও অনেক বেশি শট খেলে, এটা দারুণ ব্যাপার।'