দরজা বন্ধ করেও মেসিভক্তকে আটকানো গেল না

মাঠে ঢুকে পড়লেন সেই মেসিভক্ত। তাঁকে থামানোর চেষ্টায় নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: টুইটার
মাঠে ঢুকে পড়লেন সেই মেসিভক্ত। তাঁকে থামানোর চেষ্টায় নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: টুইটার

খেলার এই এক শক্তি। পরিস্থিতি যা–ই হোক, মনে ঢেউ তুলবেই। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ইউরোপজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাঠে দর্শকহীন ম্যাচ। এর মধ্যেও কিছু ভক্ত আছেন, যাঁরা এক কাঠি সরেস। পরিস্থিতি যা-ই হোক, প্রিয় তারকার সঙ্গে ‘সেলফি’ আমার চাই-ই চাই!

কাল লা লিগায় বার্সেলোনা-মায়োর্কা ম্যাচে দেখা গেল এমন এক মুহূর্ত। তাতে অন্তত সেই পুরোনো রোমাঞ্চটুকু জেগেছিল টিভি দর্শকদের। করোনা আসার আগে টইটম্বুর গ্যালারি থেকে ঝুঁকি নিয়ে পাগলাটে ভক্তরা ছুটে যেতেন মাঠে। তাতে নিরাপত্তায় প্রশ্নের দাগ পড়লেও ফুটবলের সহজাত উত্তেজনা, রোমাঞ্চ জেগে উঠত। কাল এমনই এক দৃশ্য দেখা গেলে খেলার ৫২ মিনিটে।

ফরাসি এ ভক্তকে বগলদাবা করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মেসি তা দেখছেন। ছবি: টুইটার
ফরাসি এ ভক্তকে বগলদাবা করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মেসি তা দেখছেন। ছবি: টুইটার

খেলাটা ছিল রিয়াল মায়োর্কার মাঠ সন মইক্সে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে স্বাভাবিকভাবেই এটি ছিল ‘ক্লোজ ডোর’ ম্যাচ। কোনো দর্শক ঢুকতে দেওয়া হয়নি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, এর মধ্যে সেই ভক্ত স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে যান মাঠে। ফরাসি এ নাগরিক মেসির ভক্ত। প্রায় দুই মিটার উচ্চতার বেড়া লাফ দিয়ে পার হয়ে মাঠে ঢোকেন তিনি।


আর্জেন্টিনার জার্সি (মেসির ১০ নম্বর জার্সি) পরিহিত সেই ভক্ত মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে ঢুকেছিলেন মাঠে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর ফোন ঘেঁটে ছবি মুছে দিয়েছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ফুটবলপ্রেমী, ‘মেসি আমার আদর্শ। ছবি তুলেছিলাম। পুলিশ মুছে দিয়েছে। সম্ভবত আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হবে, কিংবা জরিমানা। কিন্তু অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল।’


মাঠে ঢুকে প্রথমে বার্সা ডিফেন্ডার জর্ডি আলবার দিকে এগিয়ে যান সেই ভক্ত। এরপর মেসির দিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরাশায়ী করে ফেলেন। দুজন পুলিশ এসে সাহায্য করেন তাঁকে মাঠ থেকে বের করতে। এর মধ্যে থেমে যায় খেলা। ম্যাচটা ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সা।


মেসিভক্তের ফোন তল্লাশি করেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে নিজের নাম ও পরিচয় না জানালেও পুলিশকে খুলে বলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, ‘সম্ভবত অভিযোগ দায়ের করা হবে। তাদের নিজের ও বাবার নাম জানিয়েছি।’