'অধিনায়ক কোহলি কিছুই জেতেনি' - মনে করিয়ে দিলেন গম্ভীর

বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গৌতম গম্ভীর। ফাইল ছবি
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গৌতম গম্ভীর। ফাইল ছবি
সাবেক সতীর্থ গৌতম গম্ভীর বললেন ব্যক্তিগত অর্জনেই সন্তুষ্ট না থেকে কোহলির উচিৎ দলীয়ভাবে কিছু জেতার চেষ্টা করা

২৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি, ৪৩টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি। টেস্টে ৭ হাজার ও ওয়ানডেতে ১১ হাজারের ওপরে রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ব্যাটিং গড় ৫০–এর বেশি। ব্যাটসম্যান কোহলির সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো উপায় নেই। সেই প্রশ্ন কেউ তোলেও না।

তবে অধিনায়ক কোহলির সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন আছেই। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর সাফল্যের খাতায় যে এখনো শূন্য। কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি দূরে থাকুক, কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকেও এখনো জেতাতে পারেননি আইপিএল ট্রফি। এ সব তথ্য মনে করিয়ে দিয়েই কোহলির সাবেক সতীর্থ গৌতম গম্ভীর বললেন ক্রিকেট যেহেতু দলীয় খেলা, তাই শুধু ব্যক্তিগত অর্জনেই সন্তুষ্ট না থেকে কোহলির উচিৎ দলীয়ভাবে কিছু জেতার চেষ্টা করা।

ভারতীয় ক্রীড়া বিষয়ক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড নামের এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া গম্ভীর। ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির এই লোকসভা সদস্য ওই অনুষ্ঠানেই কোহলির অপূর্ণতার কথা বললেন। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই ক্রিকেটার তা বলতে গিয়ে ব্রায়ান লারা ও জ্যাক ক্যালিসের প্রসঙ্গও টেনে আনলেন।

গম্ভীরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোহলির আর কোনো মাইলফলক ছোঁয়ার আছে কি না তা। উত্তর দিতে দেরি করেননি দিল্লির এই সংসদ সদস্য, ‘এটা যেহেতু দলীয় খেলা। আপনি রান করে যেতে পারেন। ব্রায়ান লারাও তো অনেক রান করেছেন। জ্যাক ক্যালিসের মতো খেলোয়াড় কিছুই জিততে পারেননি। এই মুহূর্তে সত্যি বলতে অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি কিছুই জেতেনি।’

গম্ভীর মনে করেন দলীয় খেলার ইতিহাসে অক্ষয় হতে অধিনায়ক হিসেবে কিছু তো জিততেই হবে কোহলিকে, ‘তার অনেক কিছু পাওয়ার বাকি। সে রান করে যেতে পারে। তবে আমি মনে করি এটা যেহেতু দলীয় খেলা তাই বড় কোনো ট্রফি না জিতলে ক্যারিয়ারটা তো অপূর্ণ থেকে যাবে।’

৩৮ বছর বয়সী গম্ভীর মনে করছেন নিজের সঙ্গে তুলনা করে নয় কোহলির দরকার প্রত্যেক সতীর্থের সামর্থ্য বুঝে ব্যবহার করা, ‘সে অন্যদের থেকে আলাদা। বিরাট কোহলির মতো সামর্থ্যের খেলোয়াড় খুব বেশি তো নেই। নেতা হিসেবে তাঁর দরকার হলো প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সামর্থ্য বোঝা। নিজের সঙ্গে অন্যদের তুলনা টানা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটি মানুষেরই আলাদা স্বত্ত্বা আছে। প্রত্যেকেরই দোষ–গুণ, শক্তি–দুর্বলতা আছে। আর এ কারণেই দলীয় খেলাটা এতটা আকর্ষণীয়। সবাইকে এক করে তাঁদের মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালোটা বের আনতে হবে।’

উদহারণও দিলেন গম্ভীর, ‘মোহাম্মদ শামি কখনোই যশপ্রীত বুমরা হতে পারবে না। ইশান্ত শর্মার যশপ্রীত বুমরা হতে পারবে না। তেমনি কেএল রাহুলও বিরাট কোহলি হতে পারবে না। এটাতো বলাই যায় শ্রেয়াস আইয়ার, মনীশ পান্ডেরা কখনোই বিরাট কোহলির প্রতিভার সমকক্ষ হতে পারবে না। তবে বিশ্বসেরা হতে এদের সেরাটা বের করে আনতে হবে ও এদের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে।’

কোহলি শুনেছেন কি।