করোনা সামলাতে না পেরে চাকরি হারাচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান

কেভিন রবার্টস। ছবি: সংগৃহীত
কেভিন রবার্টস। ছবি: সংগৃহীত
>করোনা সামলাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে চাকরি হারাচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী।

করোনায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ক্ষতি তেমন হয়নি বললেই চলে। গত অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ ছাড়া পুরো গ্রীষ্মে রমরমা ব্যবসা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আগস্টের আগে ঘরের মাঠে কোনো ক্রিকেটও ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনার সময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন রবার্টসের কথাবার্তায় মনে হতো, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের যায় যায় অবস্থা।

আর্থিক ক্ষতি কমাতে বোর্ড কর্মকর্তাদের বেতনের ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেন তিনি। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের সময় দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য চাকরি হারাতে যাচ্ছেন রবার্টস। রবার্টসের জায়গায় একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দেওয়া হবে।

বছরের শেষে ভারত দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট ভেন্যুর তালিকা থেকে পার্থকে বাদ দেওয়া হয়। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও এই বিষয়ে রবার্টসের মনোমালিন্য হয়। অন্যান্য রাজ্য দলের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। চলতি মাসের শুরুতে রবার্টস বলেছিলেন, করোনার কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। তবে এই খবরের সত্যতা নিয়ে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম সন্দেহ প্রকাশ করছে।

অক্টোবরে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। আগস্ট থেকেই যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছে, সেখানে আর্থিক ক্ষতির সাজানো নাটকের অভিযোগ আসছে প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে।

অস্ট্রেলীয় ক্রীড়া কর্মকর্তাদের কপাল খারাপ বলতেই হয়। করোনার সময় একের পর এক চাকরি হারাচ্ছেন ক্রিকেট ও রাগবির প্রধান নির্বাহীরা। রবার্টস হতে যাচ্ছেন তৃতীয়। তাঁর আগে জাতীয় রাগবি লিগের প্রধান টড গ্রিনবার্গ, রাগবি অস্ট্রেলিয়ার চিফ রায়েলেন কাসল সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন।