রোনালদোকে দেখেই...

তখন ইন্টারে ছিলেন রোনালদো। ছবি : টুইটার
তখন ইন্টারে ছিলেন রোনালদো। ছবি : টুইটার
>ব্রাজিলের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এতটাই ভালো ছিলেন যে নিজের সমসাময়িক তারকাদেরও প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। সে কথাটাই যেন নতুন করে আবারও বোঝালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যান্ডি কোল

মাত্র ২০ বছর বয়সে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন। বার্সেলোনার মতো ক্লাবে গিয়ে গোলবন্যা ছুটিয়েছেন। ২১ বছরের মধ্যেই দু-দুবার বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হয়ে ক্লাব বদলেছেন। একবার পিএসভি আইন্দহোভেন থেকে বার্সেলোনায়, আরেকবার বার্সা থেকে ইন্টার মিলানে।


লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যুগ শুরু হওয়ার আগে ব্রাজিলের রোনালদোই ছিলেন হাতেগোনা দু-একজন ফুটবল তারকাদের মধ্যে একজন, যাঁরা উঠেছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষতম চূড়ায়। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এমনকি সমসাময়িক অনেক ফুটবল তারকাও ছিলেন রোনালদোর অন্ধভক্ত। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যান্ডি কোলই যেমন।

চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী সাবেক এই তারকা জানিয়েছেন, রোনালদোর ইন্টার মিলানের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রিয় তারকাকে দেখে উত্তেজনায় আরেকটু হলে নিজের প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি, ‘আমি মিথ্যা বলব না। যে মৌসুমে আমরা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হয়েছিলাম, ম্যাচ শুরুর আগে টানেলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে উত্তেজনায় ওকে দেখে নিজের প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছিলাম প্রায়!’

অ্যান্ডি কোল যে ম্যাচটার কথা বলছেন, তা ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে হয়েছিল। কোলের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর ইন্টার মিলানের। রোনালদোর ইন্টার তখন ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দল। ওদিকে কোলের ইউনাইটেড ছিল 'আন্ডারডগ'। রোনালদোকে দেখে আবেগে ভেসে যাওয়াটাই তাই স্বাভাবিক কোলের জন্য, ‘ও এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে আমি বছরের পর বছর ধরে অনুসরণ করেছি। সাহসী বলে কেউ থেকে থাকলে সেটা রোনালদো। ফুটবলার হিসেবে একজনের যা যা থাকা দরকার, ও সব ছিল। তাই টানেলে যখন ওর পাশে দাঁড়ালাম, মনে হল, কী আজগুবি ব্যাপারস্যপার এসব! ভাবলাম, আমি আসলেই ওর মতো তারকার সঙ্গে একই মাঠে খেলতে যাচ্ছি, একই পর্যায়ে খেলছি। এ অনুভূতি প্রকাশ করার মত না।’

কোল এটাও মনে করেন , চোটে জর্জরিত না হলে রোনালদোকে কেউ ধরতেও পারতেন না, ‘এখনকার ছেলেরা রোনালদো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেও না। ও যদি বারবার চোটে না পড়ত, তাহলে ও একের পর এক ব্যালন ডি’অর জিতেই যেত। গোল করত জিলিয়ন জিলিয়ন। ও এতটাই ভালো ছিল।’