ট্রাম্পকে ঠান্ডা সুরে পাল্টা চোখরাঙানি ফিফার

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি ফাইল ছবি
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

জর্জ ফ্লয়েডের রক্তের দাগ এখনো মোছেনি। তাঁর হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাস্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ এখনো চলছে। এ নিয়ে যুক্তরাস্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে এবার ঠান্ডা সুরে পাল্টা চোখরাঙানি দিল ফিফা।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ভোটাভুটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন (ইউএসএসএফ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সংগীত বাজার সময় হাঁটু গেড়ে বসার নিয়ম ফিরিয়ে আনা হবে। ২০১৭ সালে এ নিয়ম নিষিদ্ধ করেছিল ইউএসএসএফ। যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলের মতে, এই নিয়ম ভুল এবং কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনেরও যে দাম আছে, এই নিয়মের ফলে তা গুরুত্ব হারায়।

রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য ম্যাট গায়েৎজ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংগীতের সময় দাঁড়িয়ে থাকে না, এর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দল না থাকাই ভালো। জাতীয় সংগীত বাজার সময় না দাঁড়ালে জাতীয় দলের হয়ে খেলা অনুচিত।’


ট্রাম্প তাঁর টুইটটি রি-টুইট করে হুমকি দেন, ‘আমিও আর দেখব না।’ অর্থাৎ জাতীয় দলের খেলা না দেখার হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হলে চুপ করে থাকতে পারেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।


ট্রাম্পের এ মন্তব্য নিয়ে ফিফার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)। তাদের পরিচালক পর্যায় থেকে বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্দেশে বলা হয়, ‘যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্ক হবে তখন ধৈর্য্য, পারষ্পরিক সম্মানবোধ এবং উপস্থিত বুদ্ধি খাটানোয় জোর দেওয়ার কথা বলছে ফিফা। ফুটবলে যেকোনো বৈষম্যের প্রতি ফিফা ধৈর্য্যশূন্য। আমাদের অবশ্যই বর্ণবাদকে না বলা উচিত।’


২০১৬ সালে এনএফএল কোয়ার্টারব্যাক কলিন কায়েপেরনিক কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রতিবাদ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবলার মেগান র‌্যাপিনো জাতীয় দলের ম্যাচে জাতীয় সংগীত বাজার সময় একইভাবে হাঁটু গেড়ে বসেন কায়েপেরনিকের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে। এরপরই হাঁটু গেড়ে বসা নিষিদ্ধ করা হয়। তখন কায়েপেরনিক ও র‌্যাপিনোর তুমুল সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প।