ফুটবলে ফেরার আগে মাকে স্মরণ গার্দিওলার

>তিন মাস পর আগামীকাল মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। তার আগে আজ মায়ের কথা স্মরণ করলেন সিটি কোচ
করোনায় হারানো মায়ের কথা বললেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ফাইল ছবি
করোনায় হারানো মায়ের কথা বললেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ফাইল ছবি

করোনা বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে। সেই বদলে যাওয়া পৃথিবীতেই আগামীকাল ফুটবল ফিরছে ইংল্যান্ডে। প্রথম দিনেই মাঠে নেমে পড়তে হচ্ছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে। সেই গার্দিওলা যাকে কিনা করোনাভাইরাস উপহার দিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন হারানোর বেদনা। গত এপ্রিলে সিটি কোচের ৮২ বছর বয়সী মা দোলোরেসকে কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। আজ ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা জানালেন সেই কষ্ট বুকে চেপে সময় পাড় করার কথা।

গার্দিওলা বললেন মায়ের মৃত্যু তাঁকে পরিবারের গুরুত্ব আরও ভালো করে বুঝিয়েছে, 'আমার ব্যক্তিগত জীবন অন্য সবার মতোই। কোনো পার্থক্য নেই। আমরা যেসব মানুষকে হারিয়ে ফেলি তাঁদের সবাই যার যার পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। আর এ কারণেই পরিবারকে এক সঙ্গে থাকতে হয়, শক্ত হতে হয়। যেসব মানুষ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কিংবা কাছের বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেন, তাঁদের জন্য খুব কঠিন সময় এটি। '

মায়ের মৃত্যুর সময় স্পেনেই ছিলেন গার্দিওলা। আগের মাসেই ইংল্যান্ডের ফুটবল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে গিয়েছিলেন বার্সেলোনার এই সাবেক কোচ।

গার্দিওলার সিটি সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে সেই ৮ মার্চ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এরপর ১১ মার্চ আর্সেনালের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তা হতে দেয়নি করোনাভাইরাস। আর্সেনালের কিছু খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হওয়াতেই বন্ধ করে দেওয়া স্থগিত করা হয় লিগ। সেই ম্যাচের আগে গার্দিওলা বলেছিলেন দর্শকবিহীন মাঠে ফুটবল খেলার ধারণটা তাঁর পছন্দ নয়।

তিন মাস পর অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন গার্দিওলা। কেন সেই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন তিনি, 'ওই সময়ে কেউ জানত না কী হতে যাচ্ছে, এমনকী ডাক্তাররাও না। সবচেয়ে সেরা বিজ্ঞানীরাও ধারণা করতে পারেননি এমন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্যই সবার আগে। তবে স্পেনের মতো প্রিমিয়ার লিগও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খেলার, তাই আমরা খেলতে যাচ্ছি। খেলোয়াড়েরা ও মানুষ। তাঁরা দ্রুতই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবে।'