গ্রামবাসীর ঘর মেরামত করছেন ভারতীয় ক্রিকেটার

গত মাসে ঘূর্ণিঝড়ে নিসর্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য এগিয়ে এসেছেন ভারতের ওপেনার পৃথ্বী শ। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ মহারাষ্ট্রের ডোকাওয়াডে গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঘর তৈরিতে সাহায্য করছেন। দিচ্ছেন আর্থিক সাহায্যও।

করোনাভাইরাসের লকডাউনে গ্রামে এসে আটক পড়েছেন পৃথ্বী। ডোকাওয়াডের রাজনীতিবিদ সঞ্জয় পটনিসের খামার বাড়িতে রয়েছেন ২০ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। করোনায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি মহারাস্ট্র। এর মধ্যে ঘুর্ণিঝড় সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।

পৃথ্বীর সাম্প্রতিক সমাজ সেবা নিয়ে সঞ্জয় বলছিলেন, 'ঘূর্ণিঝড় এখানে বাজে ভাবে আঘাত করেছে। পুরো গ্রামের অবস্থা খারাপ। অনেকের বাড়ির ছাদ ধ্বংস হয়েছে। আমাদের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৃথ্বী ও আমার ছেলে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ সামনে থেকে দেখে তাদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামের মানুষের বাড়ির ছাদ তৈরিতে সে সাহায্য করছে। আর আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। এর অর্থ হলো পৃথ্বী শুধু প্রতিভাবান ক্রিকেটার নয়, পরিণত মানুষও যে সামাজিক দায় দায়িত্ব বোঝে।'
পৃথ্বীর এই দায়িত্ববোধ দেখে খুশি তাঁর বাবা শ সিনিয়র, 'পৃথ্বী কঠিন পথ পারি দিয়ে সে উঠে এসেছে।দুস্থ মানুষের দুর্দশায় সে সমব্যথী হবে।' সঞ্জয়ের খামার বাড়িতেনাকি টুকটাক ক্রিকেট অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন পৃথ্বী।সঞ্জয়ের ভাষায়, 'খামার বাড়িতে সিমেন্টের স্ল্যাবে সে ব্যাটিং অনুশীলন করছে। এর সঙ্গে রয়েছে ফিটনেসের কাজ।' মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ওয়ানডে দলে ছিলেন এই তরুণ ওপেনার।

এর আগে আট মাস নিষিদ্ধ ছিলেন পৃথ্বী। নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়ে শাস্তি পান তিনি। এরপর ভারত 'এ' দলের হয়ে খেলে ভারত জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পান। পারফরম্যান্স খুব ভালো না হলেও খেলার সম্ভাবনাও ছিল যথেষ্ট।