একটি জয়ের খোঁজে জেমি

জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একটি ম্যাচে জয়ের আশা করছেন বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে জেমি ডের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নতুন চুক্তির পর আজ ইংল্যান্ড থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ কোচ। প্রায় ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বের পুরো অংশটাই জুড়েই ছিল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের বাকি চারটি ম্যাচ। বাকি ম্যাচগুলোতে একটি জয়ের খোঁজে আছেন বাংলাদেশ কোচ।

বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের বাকি চার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। করোনা পরবর্তী সময়ে ৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভারত (১২ নভেম্বর) ও ওমানের (১৭ নভেম্বর) বিপক্ষে শেষ দুইটি ম্যাচও দেশে। কেবল ১৩ অক্টোবর কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দোহায়। ম্যাচগুলোকে সামনে রেখে আগস্টে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হবে। করোনা পরীক্ষা ও দুই সপ্তাহের আইসোলেশন শেষে ২০-২২ আগস্ট থেকে মাঠের অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।

ঘরের মাঠের তিনটি ম্যাচ থেকে একটি জয়ের প্রত্যাশা রাখেন জেমি, ‘শেষ ৪টি ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে। কিন্তু এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে গেলে তো আর হবে না। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। এই ৪ ম্যাচ থেকে কিছু পয়েন্ট অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যদি ঘরের তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পাই, তো দারুণ ব্যাপার হবে।’

তবে ঘরের মাঠের সুবিধে নিতে পারবে কিনা জামাল ভূঁইয়ারা, তা নিয়ে সন্দেহ জাগছে। কারণ করোনা পরিস্থিতির বিবেচনায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। তবুও ঘরের মাঠের খেলার সুবিধে দেখছেন জেমি, ‘বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে খেললে গ্যালারি দর্শকে ভরে যায়। পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে খেললে খেলোয়াড়েরাও উজ্জীবিত থাকে। এখন হয়তো ঘরের মাঠে দর্শকদের সমর্থন মিস করতে হবে। ফাঁকা মাঠেই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে খেলা যেহেতু নিজেদের মাঠে, পরিবেশ আমাদের অনুকূলেই থাকবে।’