বাবাকে মনে পড়ে কোহলির

বাবা চলে গেছেন, তবুও কোহলির জীবনের প্রতি ধাপে থেকে গেছে তাঁর ছায়া। ফাইল ছবি
বাবা চলে গেছেন, তবুও কোহলির জীবনের প্রতি ধাপে থেকে গেছে তাঁর ছায়া। ফাইল ছবি

রাতে বাবা মারা গেছেন, মরদেহ বাড়িতে রেখে পরের দিন ১৮ বছরের বিরাট কোহলি চলে এসেছিলেন রঞ্জি ট্রফির কর্ণাটক-দিল্লি ম্যাচ খেলতে। বাবা যে রাতে মারা যান কোহলি সেদিন অপরাজিত ছিল ৪০ রানে। বাবা হারানোর শোক সামলে পরের দিন করেছিলেন আরও ৫০ রান।

১৮ বছর বয়সেই কোহলি দেখিয়েছেন মানসিকভাবে তিনি কতটা শক্ত বা তাঁর মানসিকতা কতটা ইস্পাতদৃঢ়। কিন্তু সেটা ২২ গজে। মাঠের বাইরে আবেগ তাড়া করে তাঁকেও। অল্প বয়সে বাবাকে হারানোর কষ্ট তাঁকে প্রতিনিয়ত কাঁদায়। বাবার স্মরণেই তো জার্সি নাম্বার নিয়েছেন '১৮'। কাল বাবা দিবসে ভারতীয় অধিনায়ক আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে নিয়ে লিখেছেন, 'এই বাবা দিবসে আপনাদের অনুরোধ করি, বাবা আপনাকে যে পরিমাণ ভালোবাসে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। সব সময় নিজের মতো করেই সামনে এগিয়ে যান। পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকুক কিংবা না থাকুক তাঁরা (বাবা) সব সময় আপনাকে দেখবেন। বাবা দিবসের শুভেচ্ছা।'

বাবার প্রতি তাঁর এ ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর ভক্তরাও। একজন কোহলির পোস্টে লিখেছেন, 'অবশ্যই আপনার বাবা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।'  আরেকজন লিখেছেন, 'অবশ্য তিনি আপনার জন্য গর্বিত অধিনায়ক। আপনি অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা।'

শুধু বাবা দিবস বলেই নয়, সঠিক পথ দেখানোয় প্রয়াত বাবার প্রতি সব সময়ই শ্রদ্ধা জানান কোহলি। এই তো কিছুদিন আগেও এক অনলাইন আড্ডায় বলেছেন,'আমার বাবা শুধু কিছু শব্দ সাজিয়ে নয় তাঁর কাজের মাধ্যমেই আমাকে পথ দেখিয়েছেন।' বাবার অকাল মৃত্যু তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে বলেই মানেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, 'তাঁর মৃত্যু আমাকে বুঝিয়েছে আমাকে জীবনে কিছু একটা করতে হবেই। এখন ভাবি, বাবাকে যদি নিরুপদ্রপ এক অবসর জীবন উপহার দিতে পারতাম কী দারুণ ব্যাপারই না হতো! তাঁর কথা মনে করে মাঝেমধ্যেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি।'