শত্রু তুমি বন্ধু তুমি

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ও কেনি ডালগ্লিস। ছবি: এএফপি
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ও কেনি ডালগ্লিস। ছবি: এএফপি

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ও কেনি ডালগ্লিস। ইংলিশ ফুটবলের ডাগআউটে দুই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী। ডালগ্লিস দুই দফা লিভারপুলের কোচ থাকতে দ্বৈরথ ছিল ফার্গির সঙ্গে। এ ছাড়া ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের দায়িত্বে থাকতেও তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ফার্গির। ডালগ্লিসের পুরোনো দিনের এই প্রতিদ্বন্দ্বী কি শত্রুতা ভুলে গেলেন! 

অন্তত ডাগআউটের দ্বৈরথটা আপাতত এক পাশে সরিয়ে রেখেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ। লিভারপুলের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড ডালগ্লিসের ভাবনা এমনই। তার কারণও আছে। কাল লিভারপুলের লিগ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাশি রাশি শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে যান ডালগ্লিস। এর মধ্যে তাঁকে প্রায় সবার আগে অভিনন্দন জানানো ব্যক্তিদের অন্যতম ফার্গুসন।

৩০ বছর অপেক্ষার পর ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় লিগ জিতেছে লিভারপুল। সর্বশেষ তারা জিতেছিল ডালগ্লিসের কোচিংয়ে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ এবং ২০১১-১২ মৌসুমে লিভারপুলের কোচ ছিলেন ডালগ্লিস। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়েছেন ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সকেও। ফার্গুসন ২৭ বছর ইউনাইটেড কোচ হিসেবে জিতেছেন ১৩টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মিররকে ফার্গির অভিনন্দনপ্রাপ্তির খবর নিশ্চিত করেছেন ডালগ্লিস, ‘সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিনন্দন জানিয়েছে। বলেছে, তুমি এখন আর যুদ্ধ করছ না! প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও থাকে। কিন্তু বছর শেষে অভিনন্দন পাঠানোটা চলে আসছে, এটা দারুণ কিছু। শত্রুতা থাকলেও অভিনন্দন জানানোর বুদ্ধিটুকু থাকতে হয়। লোকে ফুটবল ও জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। সবাই জিততে চায়। অন্য কেউ জিতলেও সাধুবাদ দিতে ভোলে না।’

কাল ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারায় চেলসি। এতে লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। টেবিলে দ্বিতীয় দলের সঙ্গে ২৩ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। হাতে আছে আর ৭ ম্যাচ।