বিশ্বকাপে সাকিবের 'ব্যক্তিগত কোচ' প্রায় হয়ে গিয়েছিলেন শিশির

এই ছবি দিয়েই পার্থক্য বুঝিয়েছেন শিশির। ছবি: ফেসবুক
এই ছবি দিয়েই পার্থক্য বুঝিয়েছেন শিশির। ছবি: ফেসবুক
>

গত দুই বিশ্বকাপে নিজের দুই ছবি আবার নতুন করে কোলাজ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাকিবপত্নী উম্মে আল হাসান শিশির

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যখন উম্মে আল হাসান শিশিরের বিয়ে হলো, ক্রিকেট নিয়ে তেমন কিছু বুঝতেন না শিশির।

বিভিন্ন জায়গায় নিজেই এ কথা বলেছেন। ক্রিকেটের মানুষের সঙ্গে ঘর করতে করতে আস্তে আস্তে খেলার মর্ম বুঝেছেন, বুঝেছেন বাংলাদেশ ও বিশ্ব ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব। হয়েছেন ক্রিকেটের মানুষ। নিজের ক্রমাগত এই পরিবর্তন দেখে মুগ্ধ শিশির আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

পোস্টটা মূলত দুই সময়ের দুই ছবির কোলাজ। ২০১৫ ও ২০১৯–দুই বিশ্বকাপের দুটি ছবি কোলাজ বানিয়েছেন শিশির। ২০১৫ বিশ্বকাপের ছবিটায় দেখা যাচ্ছে, চোখে রোদচশমা পরে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। বোঝাই যাচ্ছে, মাঠের খেলা তেমন একটা টানছে না তাঁকে। অথচ মাঠে তখন খেলার উত্তেজনা তুঙ্গে। স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৩১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ২৫ বলে আর ১৯ রান করতে পারলেই জিতে যাবে।

ওদিকে ২০১৯ সালের ছবিটায় শিশির যেন পুরোপুরি ভিন্ন এক সত্ত্বা! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে ম্যাচটায় মহাকাব্যিক এক সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। সাকিব আর লিটন দাসের দুই সেঞ্চুরিতে ৩২২ রানের লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব। একটা বাউন্ডারি হাঁকালেই সেঞ্চুরি হয়ে যাবে। স্বামীর আসন্ন সেঞ্চুরি কিংবা নার্ভাস নাইন্টিজের চিন্তা ততক্ষণে পেয়ে বসেছে শিশিরকে। মুখ ঢেকে গ্যালারিতে বসে আছেন, চোখ বন্ধ করে, নিবিষ্ট মনে।

এই দুই ছবি কোলাজ করে ক্যাপশনে মজার ছলে নিজের এই পরিবর্তনের কথাই তুলে ধরেছেন শিশির, ‘দুই বিশ্বকাপে আমি, ২০১৫ ও ২০১৯। যখন ক্রিকেট সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না বনাম ক্রিকেট নিয়ে আমি এতটাই অভিজ্ঞ যে আমার স্বামীর ব্যক্তিগত কোচ হয়ে যাওয়ার পথে!’

আগামী বিশ্বকাপের দেখা মিলতেই ওই ধাপও অতিক্রম করে ফেলেন শিশির, সেটাই হয়তো চাইবেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। শিশিরকে ‘প্রায় ব্যক্তিগত কোচ’ হিসেবে পেয়েই সাকিব গত বিশ্বকাপে যেমন রান আর উইকেটের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপে শিশিরকে ‘পুরো কোচ’ হিসেবে পেলে হয়তো তার চেয়েও আগুনে ফর্মে দেখা যাবে সাকিবকে।

আর তাতে বাংলাদেশেরই লাভ!