লোক দেখানো হাঁটু গাড়ায় এই 'ভাইরাস' যাবে না

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাফেট। ছবি: টুইটার
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাফেট। ছবি: টুইটার
>

আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের ছোঁয়া লেগেছে খেলাধুলাতেও। ব্যাজ-বাহুবন্ধনী পরা থেকে শুরু করে হাঁটু গেড়ে একাত্বতা প্রকাশ করা, সবই করছেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু এসবে কোনো লাভ দেখছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাফেট

দাবিটা এর আগে তুলেছিলেন সাবেক ক্যারিবীয় পেসার মাইকেল হোল্ডিং। বলেছিলেন, বর্ণবাদ হটাতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন। শুধু আইন প্রণয়ন করে এই ‘ভাইরাস’কে সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব না। সাবেক এই তারকার সঙ্গে একমত ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাফেট।

ব্রাফেট মনে করেন, মানসিকতা পরিবর্তন না করলে লোক দেখানো হাঁটু গেড়ে লাভ নেই, ‘হাঁটু গেড়ে বসা কিংবা ব্যাজ পরা–এসব যথেষ্ট নয়। আমাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমার কাছে গোটা ব্যাপারটাই লোক দেখানো বলে মনে হয়। এসব করলে হয়তো কিছুদিনের জন্য একটু মাতামাতি হবে, কিন্তু আসলেই পরিবর্তন আনতে হলে গোটা সমাজব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন আনতে হবে।’

সমাজের প্রতি কোণে বর্ণবাদ চালু আছে বলে মনে করেন ব্রাথওয়াইট, ‘আমরা প্লেনে উঠে যখন কোনো লম্বা দাড়িওয়ালা লোককে দেখি, তখন কেন তাঁকে সন্ত্রাসবাদী ভেবে বসি? সুপারমার্কেটে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ দেখলে আমাদের কেন মনে হয় যে সে চোর? এটা অনেক বিস্তৃত একটা বিষয়। শুধু হাঁটু গেড়ে কিংবা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’

বর্ণবাদ ধীরে ধীরে কমছে বলেই ইংল্যান্ডে জফরা আর্চারের মতো খেলোয়াড় খেলছেন। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেককে নিয়ে আশাবাদী ব্রাফেট, ‘সব সময় শুনে এসেছি, ইংল্যান্ডে কালো ক্রিকেটারদের একঘরে করে রাখা হয়। দলে নেওয়া হয় না। একজন কালো ক্রিকেটারই কিন্তু শেষমেশ দায়িত্ব নিয়ে তাদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। ওর সাফল্য দেখে এখন আরও অনেক জফরা আর্চার খেলতে আসবে।’

যুগে যুগে নানা দেশে, নানা অঞ্চলে দেখা গেছে বর্ণবৈষম্য। গত কদিনে বিষয়টি সামনে এসেছে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর।