বার্সার ঘরে ঢুকে তথ্য-প্রমাণ খুঁজল পুলিশ

ক্যাম্প ন্যু তে তদন্ত করতে এসেছিল পুলিশ। ফাইল ছবি
ক্যাম্প ন্যু তে তদন্ত করতে এসেছিল পুলিশ। ফাইল ছবি

বার্সেলোনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কের শেষ নেই। মাঠ ও মাঠের বাইরে বিতর্ক লেগেই আছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'এএস' এমন আরও এক বিতর্কের রসদ যোগান দিল। এ সপ্তাহের শুরুতে পুলিশ এসেছিল ক্যাম্প ন্যু-তে। মানে বার্সার মাঠ ও সদরদপ্তর আর কি! 

মানি লন্ডারিং বিভাগের পুলিশ ক্যাম্প ন্যু-তে এসে কাগজ–পত্র খুঁজেছে। কীসের কাগজ–পত্র সেটাও আরেক বিতর্কিত বিষয়।

সংবাদমাধ্যমই এর আগে বিস্ফোরক খবরটি জানিয়েছিল। নির্বাচন সামনে রেখে বোর্ডের প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কুৎসা রটাতে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে বার্সা। তারা ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এসব খেলোয়াড় ও প্রার্থীদের সমালোচনা করার বিনিময়ে টাকা পেয়েছে বার্সার কাছ থেকে। পুলিশ এ সম্পর্কিত তথ্য–প্রমাণ খুঁজতেই গিয়েছিল ক্যাম্প ন্যু-তে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্সেলোনার এক বিচারকের নির্দেশেই ক্যাম্প ন্যু-তে গিয়েছিল পুলিশ। ক্লাবটির আটজন সদস্য এ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। ওই ১৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বার্সার গোপন সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র, টাকা লেনদেন এবং ক্লাবের এসব বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তথ্য–প্রমাণ খুঁজেছে পুলিশ। বার্সার প্রশাসনিক অপরাধ নিয়ে তদন্ত করছে তারা। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান এবং বোর্ডের কিছু সদস্যও অর্থের ভাগ পেয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। বার্সার বোর্ডের এক সদস্যকে এ ব্যাপারে সাক্ষী বানানো হতে পারে জানায় সংবাদমাধ্যম।

তবে এই অভিযোগ নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে করা হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বার্সার কীসের সম্পর্ক সেটা জানতেই এই অভিযোগ করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে খেলোয়াড় ও বোর্ডের কিছু সদস্যর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে বার্সার কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করার খবর ফাঁস করেছিল রেডিও 'কাদেনা সার'।