লেভানডফস্কি না ইমোবিলে, সোনালি জুতো কার?

লিগে অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিলেন লেভানডফস্কি।
ছবি: রয়টার্স

সর্বশেষ এক বছরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি ছাড়া আর একজনেরই সোনার জুতোটা জেতার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি লুইস সুয়ারেজ। ২০১৩-১৪ মৌসুমে রোনালদোর সঙ্গে যৌথভাবে এবং ২০১৫-১৬ মৌসুমে এককভাবে জিতেছেন সুয়ারেজ। এর বাইরে এই পুরস্কারে মেসি-রোনালদোর রাজত্ব। সব মিলিয়ে মেসি জিতেছেন ৬ বার, রোনালদো ৪ বার। কিন্তু এবার ইউরোপে মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পুরস্কারে এ দুজনই বেশ পিছিয়ে। এবার তাহলে দাপট কার? হ্যাঁ, বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডফস্কি আর লাৎসিওর চিরো ইমোবিলের। সম্ভবত এ দুজনের একজনই এবার সোনালি জুতো জিততে যাচ্ছেন।


এই মৌসুমে জার্মান বুন্দেসলিগায় ৩১ ম্যাচ খেলে ৩৪ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার লেভা। গোল্ডেন শুয়ের রেটিংয়ে জার্মান লিগে প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট ২, সেই হিসেবে লেভার পয়েন্ট ৬৮। সোনালি জুতোর লড়াইয়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে।


লাৎসিওর ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ইমোবিলে এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিগে ২৯ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ২৯টি। গোল্ডেন শুয়ের রেটিংয়ে সিরি 'আ'য় প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট ২, সেই হিসেবে ইমোবিলের পয়েন্ট ৫৮। জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও সিরি 'আ'-তে লাৎসিওর ম্যাচ বাকি আরও ৮টি। তবে লেভাকে ধরার যথেষ্ট সুযোগ ইমোবিলের সামনে। বাকি ৮ ম্যাচে ৫ গোল করলে তাঁর লেভার সমান পয়েন্ট হয়ে যাবে, ৬ গোল করলে ছাড়িয়েও যাবেন। ম্যাচপ্রতি এক গোল করা ইমোবিলের জন্য এটা অসম্ভব নয় মোটেও। বরং এই মুহূর্তে যে ফর্মে আছেন ৩০ বছর বয়সী ইতালিয়ান স্ট্রাইকার, সোনালি জুতো তার হাতে যেতেই পারে।

ইমমোবিলের পক্ষে কি সম্ভব লেভানডফস্কিকে টপকানো?
ছবি: রয়টার্স

এই মুহূর্তে গোলের হিসেবে তিন নম্বরে আছেন সম্প্রতি লাইপজিগ থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়া স্ট্রাইকার টিমো ভেরনার। গোল ৩৪ ম্যাচে ২৮টি। তবে বুন্দেসলিগা যেহেতু শেষ, তার আর গোল করার সুযোগ নেই। ভেরনার তাই সোনালি জুতো জিতছেন না, এটা বলেই দেওয়া যায়।

২৬ ম্যাচে ২৫ গোল নিয়ে তালিকায় চারে জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সিরি 'আ'-তে জুভেন্টাসের ৮ ম্যাচ বাকি, তবে এই ৮ ম্যাচে ৯ গোল করে রোনালদোর পক্ষে লেভাকে ছোঁয়া একটু কঠিনই। তবে রোনালদোর পক্ষে অসম্ভব কিছুই না। একটা হ্যাটট্রিক বা এক ম্যাচে জোড়া গোল পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।


মৌসুমের অর্ধেক রেড বুল সালজবুর্গ ও অর্ধেক বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলছেন আর্লিং হরলান্ড। দুই লিগ মিলিয়ে গোল করেছেন মোট ২৯ টি। তবে অস্ট্রিয়ান লিগে প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট ১.৫। সে জন্য ২৯ গোল করেও হরলান্ডের পয়েন্ট ৫০। তার আর ম্যাচও বাকি নেই। এই লড়াইয়ে তাই তিনি নেই, এটা বলে দেওয়াই যায়।

তার মানে সোনালি জুতোর লড়াই আসলে লেভানডফস্কি ও ইমোবিলের মধ্যেই এবার। অথবা শেষ দিকে চমক দেখিয়ে যদি কিছু করতে পারেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দেখা যাক, শেষ হাসিটা কে হাসেন!