দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর চেয়ে কঠিন পিতৃত্ব

উসাইন বোল্টের ফুটফুটে নবজাতক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
উসাইন বোল্টের ফুটফুটে নবজাতক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

দুই মাস আগে সুখবর পেয়েছেন উসাইন বোল্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির মানব ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন। নিজের সাফল্যভাস্বর ক্যারিয়ারটা মাথায় রেখে মেয়ের নাম রেখেছেন অল্পিম্পিয়া। বোল্ট বলছেন, ট্র্যাকে ঝড় তোলার চেয়ে তাঁর কাছে কঠিন লাগছে পিতৃত্বকালীন অভিজ্ঞতা!

অলিম্পিকে ৮টি স্বর্ণজয়ী , ১০০ ও ২০০ মিটারে রেকর্ড গড়া বোল্ট প্রথমবারের মতো বাবা হন গত ১৭ মে। বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে জ্যামাইকান সাবেক এ স্প্রিন্টার বেশ মজা করে বলছেন, 'এটা বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার চেয়েও কঠিন! প্রথম সপ্তাহে তো অসুস্থই হয়ে পড়েছিলাম। বাচ্চাকে দেখাশোনা করায় রাতে ঘুমাতে ভয় পেতাম। জেগে থাকতাম সারা রাত। আমি আবার ঘুমকাতুরে। কিন্তু এখন শিখেছি কীভাবে জেগে থাকতে হয়।'

উসাইন বোল্ট। ছবি: টুইটার
উসাইন বোল্ট। ছবি: টুইটার

ট্র্যাকে তাঁর ঝড় তোলার দিনগুলো এখন অতীত। ২০১৭ লন্ডন বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন স্প্রিন্টের রাজা। উসাইন বোল্টের ভক্তরা অবশ্য শুনে খুশি হতে পারেন, কোচ বললে নাকি তিনি আবার ফিরতেও পারেন ট্র্যাকে! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একটু রহস্য করেই ৩৩ বছর বয়সী জ্যামাইকান স্প্রিন্টার বলেছেন, 'যদি আমার কোচ ফেরেন এবং আমাকে বলেন, চলো এটা করতে হবে। আমি করব। আমি কোচকে বিশ্বাস করি। তিনি যদি বলেন আমরা এটা করতে চাইছি, জানি এটা সম্ভব। গ্লেন মিলসকে (কোচ) একটা কল দেন, আমি ফিরব।'

আত্মবিশ্বাস থেকেই হয়তো বলেছেন বোল্ট। কিন্তু ফেলে আসা ট্র্যাকে ফেরাটা যে সহজ হবে না, বোল্টের পরের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, 'আমি ট্র্যাকে ফিরলে আমার কোচ অনেক রোমাঞ্চিত হয়ে পড়বেন। এটা থেকে তাই দূরেই আছি।'