গাঙ্গুলীর অতি প্রশংসা, খেপেছেন গাভাস্কার

গাঙ্গুলীর প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁদের দুর্বল বলা খেপিয়েছে গাভাস্কারকে। ফাইল ছবি
গাঙ্গুলীর প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁদের দুর্বল বলা খেপিয়েছে গাভাস্কারকে। ফাইল ছবি

সৌরভ গাঙ্গুলী অধিনায়ক হওয়ার আগে ভারত দল নাকি লড়তেই জানত না। বাঙালি অধিনায়কের এমন ভূয়সী প্রশংসা হরহামেশা শোনা যায়। ভারতকে বদলে দেওয়ার কৃতিত্ব দেওয়া হয় গাঙ্গুলীকে। কিছুদিন আগে নাসের হুসেইন যেমন বলেছিলেন, ‘দাদা’ অধিনায়ক হওয়ার আগে ভারতের খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন। আর এমন প্রশংসাই খেপিয়ে তুলেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারকে।

গাঙ্গুলীর প্রশংসা করতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক। মিড ডেতে নিজের কলামে নাসেরের ইঙ্গিত নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন গাভাস্কার, ‘নাসের বলেছে, আগে ভারত দল প্রতিপক্ষকে “শুভ সকাল” বলত এবং হাসত। মনোভাবটা দেখুন, যদি আপনি ভদ্র আচরণ করেন, তাহলেই আপনি দুর্বল। প্রতিপক্ষের মুখের সামনে গিয়ে উদ্ধত আচরণ না করলেই আপনি দুর্বল! তার মানে কি সে ইঙ্গিতে বলছে শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দর শেবাগ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংয়ের মতো খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে শক্ত ছিল না? তারা বুকে চাপড় দিয়ে হুংকার দিত না, গালি বা চিৎকার দিত না, অশোভন আচরণ করত না, এ কারণে তারা দুর্বল?’

এরপরই নিজেদের দিনগুলোয় ফিরেছেন গাভাস্কার। নাসের চোখে লড়তে না জানা ভারতই ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জিতেছে, প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে টেস্ট জিতেছে। সে দলগুলোকে এভাবে অপমান করা মানতে পারছেন না টেস্টের এক সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক, ‘আর সত্তর ও আশির দশকের দলগুলোর দৃঢ়তা সম্পর্কে সে (নাসের) কী জানে? এ দলগুলো ঘরের মাঠের মতো বাইরেও সফল ছিল। হ্যাঁ, গাঙ্গুলী শীর্ষ মানের অধিনায়ক ছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে অধিনায়কত্ব করেছে। কিন্তু তার আগের দলগুলো নরম ছিল, এ কথা হাস্যকর।’