মাঠে দর্শক ফিরিয়ে ৯ গোল দিলেন নেইমাররা

কাল গোল উৎসবে মেতেছিলেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। ছবি: রয়টার্স
কাল গোল উৎসবে মেতেছিলেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। ছবি: রয়টার্স
>গতকাল মাঠে নেমেছিলেন নেইমাররা। প্রীতি ম্যাচে দ্বিতীয় বিভাগের দল লে হাভরেকে উড়িয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেলার মধ্যে না থাকলেও, পায়ে মোটেও মরচে পড়েনি তাঁদের

শিরোনাম দেখে চমকে যাওয়ারই কথা। তবে এটাই সত্যি। নেইমার-এমবাপ্পেরা গতকাল আসলেই খেলতে নেমেছিলেন। লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে পিএসজিকে। কিন্তু বহুদিন মাথের বাইরে থাকলেও খেলায় তার একোনো প্রভাব পড়তে দেননি নেইমাররা। নেমেই উড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। ফরাসি সরকার আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে দ্বিতীয় বিভাগের দল লে হাভরেকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

জোড়া গোল করেছেন নেইমার, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি ও স্প্যানিশ উইঙ্গার পাবলো সারাবিয়া। একটি করে গোল আইভোরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গেয়ে, স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে ও তরুণ আর্নোদ কালিমুয়েন্দোর।

তবে নেইমার-ইকার্দিদের গোলবন্যা নয়, আলোচনায় এসেছে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি। মাঠে দর্শকদের সামনেই খেলেছেন পিএসজির তারকারা। হাভরের মাঠ স্তাদে ওসিয়েনেতে এদিন দর্শক ঢোকানো হয়েছিল। মাঠের ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার হলেও মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র পাঁচ হাজার সৌভাগ্যবান। তাও, পেয়েছিলেন তো!

এই ম্যাচের মাধ্যমেই ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে প্রথম লিগ হিসেবে করোনাকালীন সময়ে মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দিল কোনো দল। তবে কাউকেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মুখে মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক। দর্শকেরা বিভিন্ন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বসেছিলেন, দলের সদস্যদের মধ্যে 'সামাজিক দূরত্ব' না থাকলেও দলগুলোর মধ্যে সে দূরত্ব দেখা গেছে। তবে খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি আর। এত দিন পর সরাসরি ফুটবল দেখতে পারার উত্তেজনায় কি আর অত কিছু হুঁশ থাকে!

করোনাভাইরাসের কারণে ২০১৯-২০২০ মৌসুম অসম্পূর্ণ রেখেই সমাপ্তি টেনেছে ফরাসি লিগ কর্তৃপক্ষ। পুরোপুরি শেষ না হওয়া মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা পিএসজিকে। অমন সিদ্ধান্তের চারমাস পরেই মাঠে দর্শক ঢুকিয়ে নেইমারদের খেলানোর সিদ্ধান্তটা একটু হলেও চমক জাগিয়েছে বৈকি!