ধোনির পথচলার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন সৌরভ

এক ফ্রেমে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফাইল ছবি
এক ফ্রেমে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফাইল ছবি
>সম্প্রতি যৌথভাবে একটি জরিপের আয়োজন করেছিল ইএসপিএনক্রিকইনফো ও স্টার স্পোর্টস। সেই জরিপে সৌরভকে পেছনে ফেলে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে কে সেরা অধিনায়ক—সৌরভ গাঙ্গুলী, নাকি মহেন্দ্র সিং ধোনি। সম্প্রতি যৌথভাবে একটি জরিপের আয়োজন করেছিল ক্রিকইনফো ও স্টার স্পোর্টস। সেই জরিপে সৌরভকে পেছনে ফেলে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা মনে করেন অধিনায়ক ধোনির পথচলার ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন সৌরভই।

৭ জুলাই ছিল ধোনির জন্মদিন, ৮ জুলাই সৌরভের। দুই মহান ক্রিকেটারের জন্মদিন উদ্‌যাপন করার লক্ষ্যেই জরিপটির আয়োজন করেছে স্টার স্পোর্টস ও ক্রিকইনফো। এই জরিপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, সাঙ্গাকারা, গৌতম গম্ভীর, ইরফান পাঠান ও কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। সম্প্রতি সেই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে স্টার স্পোর্টসের ‌‘ক্রিকেট কানেক্টেড’-এর সর্বশেষ অধ্যায়ে।

কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভোটাভুটি হয়েছে। সেই ভোটাভুটিতে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সে সৌরভের চেয়ে ধোনি ভোট বেশি পেয়েছেন। সব মিলিয়ে অবশ্য ধোনি দশমিক ৫০-এর চেয়ে কম পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। আটটি ক্যাটাগরির মধ্যে ধোনি এগিয়ে ছিলেন চারটিতে। অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়েছেন ধোনি। আইসিসির তিনটি টুর্নামেন্টের সব কটি জেতা প্রথম অধিনায়কও তিনিই।

সৌরভ এত কিছু না জিতলেও তাঁর আমলেই ভারত ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শিখেছে। সৌরভের নেতৃত্বে সেই সময়ের পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দুজনের নেতৃত্ব নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‌‘মিডল অর্ডারে ব্যাট করা ধোনি ম্যাচে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারত, ম্যাচ শেষ করে আসত সে। খুব ধীরস্থির, শান্ত ও ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড় ছিল ধোনি। তবে দাদার দলে এমএসের মতো একজন খেলোয়াড় থাকলে তাঁর দল আরও ভালো করতে পারত।’

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সাঙ্গাকারার কথা, ‌‘অনেক জিনিস দিয়েই একজনকে বিচার করা যায়। কিন্তু কখনো কখনো আপনাকে পদচিহ্ন রেখে যেতে হবে। দাদা সেটা রেখে যেতে পেরেছিলেন। আর এমএস ধোনি এটা থেকেই উপকৃত হয়েছে।’