কেন ফাস্ট বোলার হয়েছিলেন কপিল?

ভারতের প্রথম ফাস্ট বোলার কপিল এখনো দেশটির তরুণদের আদর্শ। ছবি: আইসিসি
ভারতের প্রথম ফাস্ট বোলার কপিল এখনো দেশটির তরুণদের আদর্শ। ছবি: আইসিসি

পেস আক্রমণের দিক থেকে ভারত এখন কাউকে ছেড়ে দেয় না। গতিময় উইকেট বানিয়ে ভয় দেখাতে চাইলে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা এখন রাখে দেশটি। যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবদের কারণে টেস্ট দলে ঠিকমতো সুযোগ পান না মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা। অথচ একসময় দেশটি ফাস্ট বোলার বলতে শুধু এক কপিল দেবকেই বুঝত!

কপিল দেবের উত্থানও বিস্ময়কর। যে সময়টায় তাঁর আবির্ভাব, তখন ভারত সম্পূর্ন স্পিন নির্ভর এক দল। সে সঙ্গে কাজ চালানোর মতো কিছু মিডিয়াম পেসার থাকত ভারতে। ঘরের মাঠে স্পিনার লেলিয়ে দিয়ে জেতাটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। প্রতিপক্ষের মাঠেও ব্যাটসম্যান ও ধৈর্যশীল স্পিন আক্রমণ দিয়েই সাফল্যের সূত্র বের করেছিল তারা।

সেই ভারত থেকেই আবির্ভাব হয়েছিল কপিলের। শুধু দেশকে বিশ্বকাপই জেতাননি, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ডটাও দখলে নিয়েছিলেন বেশ কিছুদিনের জন্য। তাঁর দেখাদেখি ভারতে পেস বোলিংটাও জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কারণ, ভারত থেকেও যে ফাস্ট বোলার বের হতে পারে, এ বিশ্বাসটা কপিলই জন্ম দিয়েছেন।

কিন্তু ভারতে বিরুদ্ধ কন্ডিশন আর পরিবেশে কেন ফাস্ট বোলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন কপিল? কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানালেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, 'যে ঘটনা পুরো বিষয়টা পাল্টে দিয়েছে তা হলো অনূর্ধ-১৯ এর ক্যাম্প। এই ক্যাম্পগুলোতে কর্মকর্তারা চাপে ফেলার চেষ্টা করে ক্রিকেটারদের। এমনই এক কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক হয়েছিল আমার। সে বলেছিল, “কী কর তুমি?”আমি বললাম, “আমি ফাস্ট বোলার।”জবাব এল, “ভারতে কখনো কোনো ফাস্ট বোলার ছিল না।“উৎসাহ তো দিলই না, বরং আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করল। আমি চ্যালেঞ্জটা নিলাম এবং নিজেকে বললাম, “একদিন ফাস্ট বোলার হয়ে একে দেখিয়ে দেব।”'

ইউটিউবে সাবেক ওপেনার ডব্লুভি রমনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কপিল আরও যোগ করেছেন, 'আমি সবসময় নেতিবাচক মানুষদের ভুল প্রমাণ করতে চাই এবং এভাবেই ফাস্ট বোলিংয়ের শুরুটা হলো।' টেস্টে ৪৩৪ উইকেটের মালিক ওয়ানডেতেও ২৫৩ উইকেট নিয়ে অবসর নিয়েছিলেন।