ধোনি মন পড়তে জানতেন, বলছেন ভারতীয় স্পিনার

উইকেটের পেছনে থেকে বোলারদের অনেক পরামর্শ দিতেন ধোনি। ছবি: এএফপি
উইকেটের পেছনে থেকে বোলারদের অনেক পরামর্শ দিতেন ধোনি। ছবি: এএফপি

সেই জুলাইয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ভারত, তারপর থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি আর ভারতীয় দলের আশপাশেও নেই। অবসর নেননি, কিন্তু জাতীয় দল থেকে, এমনকি ক্রিকেট থেকেই অনেকটা দূরে আছেন। কিন্তু সংবাদের শিরোনামে ধোনি নামটার উপস্থিতি নিয়মিতই। বেশির ভাগই কারও না কারও প্রশংসার কারণে। আজ কেউ একজন ধোনির কোনো একটা দিকের প্রশংসা করছেন, তো কাল অন্য আরেকজন অন্য কোনো দিকের।

নতুন করে ধোনির প্রশংসা করেছেন ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। তাঁর চোখে, সতীর্থ হোক বা প্রতিপক্ষ—যে কারও শরীরী ভাষা বেশ ভালোভাবে পড়তে পারতেন ধোনি। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের শরীরী ভাষা বুঝে চাহালদের বোলিংয়ে অনেক পরামর্শও দিতেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক।

‘মাহি ভাই (ধোনি) ভারতের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। আমাকে আর কুলদীপকে (কুলদীপ যাদব) ম্যাচের মধ্যে কত সাহায্য করেছেন! মাঝে মাঝে এমন হতো, হয়তো ব্যাটসম্যান আমাকে চার মেরেছে, তারপর তিনি এসে আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘‘ওকে (ব্যাটসম্যান) গুগলি মার। ও খেলতে পারবে না।’ ’’—ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াতে বলেছেন চাহাল।

এই প্রসঙ্গেই এল ধোনির খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা বোঝার ক্ষমতার কথা। তাতে চাহাল তুলে আনলেন অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরেও ধোনি কীভাবে দলের খেলোয়াড়দের সমস্যার সমাধান দিতেন, সেই গল্প। ধোনির পর বিরাট কোহলি ভারতের সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব পেলেও ম্যাচে ধোনির প্রভাব স্পষ্টই বোঝা যেত। দলের সবার কাছেও ধোনি যেন ছিলেন ‘মুশকিল-এ-আসান।’ চাহাল তা-ই বলছিলেন, ‘ (ওয়ানডেতে) ম্যাচের ৪০ ওভারের পর বিরাট ভাইয়া (বিরাট কোহলি) বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতেন। সে সময় আমাদের বোলিংয়ের সময় আশপাশে কাউকে দরকার হতো বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য। মাঝে মধ্যে এমন হতো, আমি মাহি ভাইয়ের দিকে তাকালাম, উনি আমার শরীরী ভাষা দেখেই বুঝে গেলেন আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইছি, বা আমার কোনো কিছু নিয়ে মনে সংশয় আছে। তিনি তখন আমার কাছে আসতেন, সমস্যার সমাধান দিতেন।’

স্টাম্পে রাখা মাইক্রোফোনের বদৌলতে অনেকবারই কুলদীপ আর চাহালের উদ্দেশে ধোনিকে নানা পরামর্শ দিতে শোনা গেছে। সেগুলোর সুফলও বেশ ভালোই পেয়েছেন কুলদীপ-চাহাল। ধোনিকে নিয়ে তাই চাহালের মুগ্ধতা, ‘আমি বোলিংয়ে আসার আগেই দেখা যেত তিনি আমার ৫০ ভাগ সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন। কুলদীপের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। আমার আর কুলদীপের জন্য তিনি সমস্যার সমাধানদাতা।’

এ দুজন যে ধোনিকে মিস করবেন, তা বলাই যায়।