রিয়াল মাদ্রিদের শেষটা সুন্দর হতে দিল না লেগানেস

করোনায় থমকে যাওয়া সময়ে থেমে গিয়েছিল ফুটবলও। ব্যতিক্রম ছিল না লা লিগা। শেষ পর্যন্ত করোনার বিরতী শেষে রিয়াল–বার্সার খেলোয়াড়েরা মাঠে নেমেছেন। সেটা খাঁ খাঁ গ্যালারিতে। করোনার বিরতীর পর মাঠে ফিরে তো চোখে লেগে থাকা ফুটবল খেলেছে জিদান শিষ্যরা। তার ফলও অবশ্য পেয়েছে তারা। পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনাকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে মৌসুমের শেষ ম্যাচটায় জয়ের আনন্দ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি রিয়াল সমর্থকেরা। শেষ ম্যাচে লেগানেসের সঙ্গে ২–২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চ্যাম্পিয়নরা।
লেগানেসের মাঠে শুরুটা দুর্দান্তই করেছে বেনজেমা–রামোসদের। ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যেই গোলের দেখা পায় অতিথিরা। মাঝমাঠে পাওয়া বল লম্বা পাসে বাড়ান ইসকো। অসাধারণ হেডে বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি রামোস। আক্রমণ আর বলের দখলে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও স্বাগতিকেরা পাল্টা আক্রমণে ছিল ভয়ংকর। তারউপর রিয়াল রক্ষণে ছিল গা ছাড়া একটা ভাব। তার খেসারতও দিয়ে বিরতীতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে গোল হজম করে। যোগ হওয়া সময়ে ব্রায়ান গিলের গোলে সমতায় ফেরে লেগানেস।
অবশ্য বিরতী থেকে ফিরে জবাব দিতে দেরি করেনি রিয়াল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে অ্যাসেনসিওর গোলে ব্যবধান বাড়ায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এবারও ইসকোর বাড়ানো বল পেয়ে গোল করেন অ্যাসেনসিও। ম্যাচের শেষদিকে স্বাগতিকেরা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলে। বেশ কবার রিয়াল রক্ষণে ভয় ধরিয়ে দিয়ে গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৭৮ মিনিটে অ্যাসালের গোলে। শেষদিকে লেগানেসের বদলি খেলোয়াড় এভিলেস পরপর দুবার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত রিয়াল।
লা লিগার করোনাকালের এই মৌসুমটা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লেপ্টে থাকবে নিশ্চিত। সেখানে লেখা থাকবে একটি নাম—রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ ঘটনাবহুল মৌসুমটা যে এক ম্যাচ হাতে রেখে জয় করে নিয়েছে তারাই।