তৃতীয় টেস্টে আর্চার কি খেলবেন

ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার। ছবি:
ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার। ছবি:

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেছিলেন জফরা আর্চার। দেখা করতে গিয়েছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে। পরিণামে বাদ পড়েন দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের দল থেকে। মাশুল দেওয়ার এখানেই শেষ নয়। বর্ণবাদী আচরণের শিকারও হতে হয়েছে আর্চারকে।

ইংলিশ পেসার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। বর্ণবাদের শিকার হওয়ার পর মনের অবস্থা ভালো নেই আর্চারের। সিরিজে নিষ্পত্তিমূলক তৃতীয় ও শেষ টেস্টে তিনি খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই।
সাউদাম্পটন টেস্টের পর টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়েই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যান আর্চার। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের সমতায় ফেরার টেস্টে তাই সর্তকর্তামূলক ব্যবস্থা এবং আচরণবিধি ভাঙার দায়ে মাঠে নামতে পারেননি ২৫ বছর বয়সী এ পেসার। দুবার কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ হয়ে খেলার মতো অবস্থায় থাকলেও মনটা ভালো নেই গতিময় এ পেসারের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম 'মেইল অনলাইন'-এ লেখা কলামে আর্চারের দাবি, তিনি তো 'কোনো অপরাধ করেননি।' সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী কথার শিকার হন তিনি। এতে ‍শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া খেলার বিষয়ে তিনি ঠিক নিশ্চিত নন। কলামে আর্চার লেখেন, 'এ সপ্তাহে ক্রিকেটে নিজেকে নিংড়ে দিতে মানসিকভাবে শতভাগ ঠিক থাকতে হবে। আমি ৯০ মাইল বেগে বল করতে না পারলে তা সংবাদ হবে। টানা অনেক সময় ধরে ৯০ মাইল বেগে বল করতে না পারলেও তা খবর হবে।'
তৃতীয় টেস্টে ফেরার মতো অবস্থায় না থাকলেও আর্চার দলের বোলিং শক্তি নিয়ে ভাবছেন না। ইংল্যান্ডে আক্রমণে ভালো বোলারের অভাব নেই বলেই মনে করেন তিনি। স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস, স্যাম কারেন, জেমস অ্যান্ডারসনরা আছেন।
আর্চার সোজাসাপ্টাই লিখেছেন, 'মাঠে আমি সব সময় শতভাগ উজাড় করে দেই। তা দেওয়ার মতো অবস্থায় না থাকলে মাঠে নামতে চাই না।' স্বাস্থ্যবিধি ভাঙায় এ পেসার জরিমানা গুনেছেন। তবে বর্ণবাদী মন্তব্যকারীদের এবার দেখে নিতে চান তিনি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও দর্শকের কাছে একই আচরণের শিকার হন তিনি।
আর্চারের ভাষ্য, 'কয়েক বছর ধরে ইনস্টাগ্রামে কিছু আচরণ বর্ণবাদী ছিল। যথেষ্ট হয়েছে! ইসিবিতে আমি অভিযোগ করেছি। যে কাজটা আমি করেছি এটা জানি যে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছে। কিন্ত এর ফল আমি পেয়েছি। কোনো অপরাধ তো করিনি।'