আর্চারকে চামড়া মোটা করতে বলে...

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। ছবি: ভনের টুইটার
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। ছবি: ভনের টুইটার

জফরা আর্চারকে নিয়ে কথা থামছেই না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার মেইল অনলাইনে কলামে লিখেছেন, আর্চারের সমর্থন প্রয়োজন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার মাইকেল ভনও কলাম লিখেছেন আর্চারকে নিয়ে। ইংলিশ পেসারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ভন। তবে একটু অন্যভাবে। মানসিকভাবে আর্চারকে দুর্বল বলেই মনে করেন ভন। তাঁকে 'চামড়া মোটা' করার পরামর্শ দিয়েছেন বর্তমানের এ ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক। এ নিয়েই উসকে উঠেছে সমালোচনার আগুন।

ঘটনার গোড়া থেকে শুরু করা যাক। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেছিলেন জফরা আর্চার। দেখা করতে গিয়েছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে। পরিণামে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার বাদ পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান তিন টেস্টের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন আর্চার। তাতে বেশ ভালোই মুষড়ে পড়েন তিনি। মেইল অনলাইনে কলামে তিনি লেখেন, কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। খেলতে পারবেন কি না ঠিক নিশ্চিত নন।

এরপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম 'টেলিগ্রাফ'–এ আর্চারকে সমালোচনার সুরেই পরামর্শসুলভ কলাম লেখেন ভন। এ লেখার শিরোনামে ছিল 'জফরা আর্চারকে অবশ্যই চামড়া মোটা করতে হবে...।' সেখানে ভন লেখেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পড়ে থাকলে সেটি ভালো কিছু না। বিদ্বেষমূলক কথাকে আমি পাত্তা দেই না। আমি নিজেও দিনে ২৫–৩০ বার বর্ণবাদ কিংবা বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হয়েছি। পেশাদার খেলাধুলার জগত নির্মম জায়গা। এখানে গণ্ডারের চামড়া দরকার। কারণ ঘন্টার পর ঘন্টা পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ হয়। এ কারণে মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালিরাই এখানে টিকে থাকে।'

টুইটারে এভাবেই সমালোচনার শিকার হন ভন। ছবি: টুইটার
টুইটারে এভাবেই সমালোচনার শিকার হন ভন। ছবি: টুইটার

ফক্স ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার ভন কাল এ লেখাটা তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। এরপরই উসকে ওঠে সমালোচনার আগুন। ওয়েলসের তারকা হকি খেলোয়াড় ডেভিড কেটল ভনের পোস্টটি রি–টুইট করে লেখেন, 'আপনি কি সত্যিই মাইকেল ভন?' সাবেক ইংলিশ ওপেনার এর জবাবে টুইট করেন, 'হ্যাঁ, দয়া করে পুরো লেখাটা পড়ুন। দ্বিমতপোষণ করতেই পারেন। তবে আমি এটাই মনে করি।' কেটল এর জবাবে লেখেন, 'কয়েকবার পড়েছি মাইকেল। ঠিক নিশ্চিত নই কী বোঝাতে চেয়েছেন। শিরোনামটা ভাবাচ্ছে “চামড়া মোটা করতে হবে” = বাজে কথা। তারকা অ্যাথলেট থেকে সাধারণ কারও বর্ণবাদ সহ্য করা অনুচিত। সে নেটে বল করতে চায়নি তাতে আমি এতটুকু অবাক হইনি।' ভন এ কথার জবাবে রক্ষণাত্মক হয়ে রি টুইট করেন, 'আমিও তাই মনে করি। কারও সহ্য করা উচিত না। এটা লেখায় উল্লেখ আছে।'

শুধু কেটল নন, টুইটারে ভনের অনুসারীরাই তাঁকে ধুয়ে দিয়েছেন। একজনের মন্তব্য, 'অ্যাশেজ এবং গত বিশ্বকাপে সে যথেষ্ট শক্ত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। কী অদ্ভুত কথা!' এমন সব কথা ধেয়ে আসার পর আবারও টুইট করেন ভন, 'কিন্তু আপনারা এখানে আমার সঙ্গে বিদ্বেষমূলক আচরণ করছেন। আমি পাত্তা দিচ্ছি না। শুভ রাত্রি।'