চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য ইংল্যান্ডে যেতে পারবে রিয়াল?

ছুটির আমেজে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সার্জিও রামোস। চ্যাম্পিয়নস লিগ সামনে রেখে মঙ্গলবার অনুশীলনে ফিরবেন দলটির খেলোয়াড়েরা। ছবি: টুইটার
ছুটির আমেজে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সার্জিও রামোস। চ্যাম্পিয়নস লিগ সামনে রেখে মঙ্গলবার অনুশীলনে ফিরবেন দলটির খেলোয়াড়েরা। ছবি: টুইটার

শেষ ষোলো প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ থেকে জিতে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফিরতি লেগ ৭ আগস্ট রাতে। এ ম্যাচে গ্যালারিতে কোনো দর্শক থাকবে না ঠিকই, তাই বলে উত্তেজনা, আগ্রহে ভাটা পড়বে তেমন ভাবার কারণ নেই। কিন্তু ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি সময়মতো গড়াবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধে উঠেছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্পেন থেকে ইংল্যান্ডে যাঁরা আসবেন, তাদের জন্য নতুন করে নিয়ম চালু করেছে ব্রিটিশ সরকার।

নিয়মটি চালু করা হয়েছে আজ থেকে। স্পেন থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর ১৪ দিনের জন্য সবার থেকে আলাদা (আইসোলেশন) থাকতে হবে। তবে এই নিয়ম শুধু স্পেন থেকে ইংল্যান্ডে ফেরত আসা ভ্রমণকারীদের জন্য নাকি স্প্যানিশরাও এর আওতায় পড়বেন তা নিশ্চিত করা হয়নি, জানিয়েছে স্পেনের সংবাদমাধ্যম। ইংল্যান্ডের পরিবহন কর্তৃপক্ষের টুইট, ‘২৬ জুলাই কিংবা তারপর স্পেন, ক্যানারি ও ব্যালেরিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইংল্যান্ডে আসলে ১৪ দিন সবকিছু (সেলফ আইসোলেশন) থেকে আলাদা থাকতে হবে।’

উয়েফা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ইতিহাদে ম্যাচটি আয়োজন না করা গেলে পর্তুগালে তা স্থানান্তর করা হতে পারে। পোর্তো অথবা গুইমারেজে ম্যাচটি নিয়ে যেতে পারে উয়েফা।ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে স্পেনে করোনা মহামারির প্রকট আকার ধারণ করা। স্পেন সরকার তিন মাসের জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সেখানে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সংক্রমণের সংখ্যা ৯০০ ছাপিয়ে গেছে। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা করা আমাদের অগ্রাধিকার। এ কারণেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে যেন ইংল্যান্ডে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’কে উয়েফার এক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানে আজ আলোচনার টেবিলে বসা হবে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে কি না তা ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি। রিয়াল সেখানে গিয়ে খেলতে পারবে কি না সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্রিটিশ সরকারকে।