যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছে মানতে পারছেন না যুবরাজ

যুবরাজ সিং। ছবি: টুইটার।
যুবরাজ সিং। ছবি: টুইটার।
রোমাঞ্চে ঠাসা যুবরাজ সিংয়ের ক্যারিয়ারের শেষটা মোটেও সুখকর ছিল না। বিসিসিআই কর্মকর্তাদের অবহেলা আর উপেক্ষায় শেষ পর্যন্ত অবসরের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।


ভারতের হয়ে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের ক্রিকেটের অনেক অর্জনের সঙ্গে লেখা আছে এই অলরাউন্ডারের নাম। কিন্তু ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এক বছর পরও আক্ষেপে পুড়ছেন যুবরাজ।

ক্যারিয়ারটা আরও লম্বা করার আক্ষেপ নয়। ক্যারিয়ারের শেষ দিনগুলোর কথা মনে করেই দুঃখ করেছেন ক্যানসার জয় করে ফিরে আসা লড়াকু যোদ্ধা। যেভাবে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে সেই পথটা যে মোটেও সুখকর ছিল না। অন্তত একটা বিদায় সংবর্ধনা পেতেই পারতেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে। কিন্তু সেই সংবর্ধনাও জোটেনি কপালে। আর এসব দুঃখের কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন ফ্রি হিট নামের একটা অনুষ্ঠানে।

৩০৪ ওয়ানডে, ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ও ৪০ টেস্ট খেলা যুবরাজ নিজের অবসর নিয়ে এক বুক অভিমান নিয়ে বলছিলেন, ‘প্রথমত আমি নিজেকে কিংবদন্তি ভাবি না। আমি একটা বিষয় বলতে পারি যে, খুব মন দিয়েই ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু আমি খুব বেশি টেস্ট খেলিনি। আর কিংবদন্তিদের টেস্ট রেকর্ড খুব ভালো হয়। কাউকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত তো আমার না। এই সিদ্ধান্তটা বিসিসিআই নেবে।’

শুধু যে যুবরাজ এমন অবহেলার শিকার হয়েছেন তা নয়, সতীর্থ বীরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিং, জহির খানদের সঙ্গেও যে এমনটা করেছে বিসিসিআই। এটাও মানতে পারেননি যুবরাজ, ‘আমার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তারা আমার সঙ্গে যা করছে সেটা ছিল খুবই অপেশাদার আচরণ। তবে হরভজন, শেবাগ, জহির খানদের মতো বড় মাপের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও ভালো কিছু করা হয়নি। এটা ভারতীয় ক্রিকেটেরই একটা অংশ। অতীতেও আমি এগুলো দেখেছি। এবং আমি এতে সত্যিই মোটেও অবাক হইনি।’

ভারতীয় ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন গৌতম গম্ভীর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। কিন্তু বিসিসিআই তাঁদেরও যথার্থ মূল্যায়ন করেনি। যে সব ক্রিকেটার এই খেলাটার জন্য জীবনের অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে সম্মান জানানো উচিত বলেই মনে করেন যুবরাজ, ‘যারা অনেক দিন ধরে ভারতের জন্য খেলেছে এবং কঠিন অবস্থার মধ্যে গিয়েছে ভবিষ্যতে তাদের অবশ্যই সম্মান করা উচিত। গৌতম গম্ভীরের মতো ক্রিকেটার যে আমাদের জন্য দুটো বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে তাকে তো সম্মান জানানো উচিত। সুনীল গাভাস্কারের পর শেবাগও টেস্টে বড় ম্যাচ জয়ী নায়ক, তাকেও সম্মান দেওয়া উচিত। এমনকি ভিভিএস, জহিরকেও সেটা দেওয়া উচিত ছিল।’