অথচ ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন যুবরাজ

যুবরাজ সিং এক সময় ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন। ফাইল ছবি
যুবরাজ সিং এক সময় ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন। ফাইল ছবি

মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং আর বাঁহাতি স্পিনে সমৃদ্ধ এক ক্যারিয়ারই গড়েছেন যুবরাজ সিং, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। তাঁর শোকেসে আছে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট–সেরা হওয়ার পুরস্কার। এত দিনে যুবরাজ জানালেন, ব্যাটসম্যান নয়, কৈশোরে তিনি হতে চেয়েছিলেন একজন ফাস্ট বোলার!

যুবরাজ ১১ বছর বয়স পর্যন্ত এগিয়েছেন ফাস্ট বোলার হওয়ার লক্ষ্যেই। হঠাৎই কীভাবে বদলে গেল ক্যারিয়ারের গতিপথ, কীভাবে তাঁর ব্যাটসম্যান হওয়া, সম্প্রতি সে গল্পই শুনিয়েছেন যুবরাজ, ‘আমি সেবার পালামে বিষেন সিং বেদির ক্যাম্পে ছিলাম। বয়স ১১ কি ১২, একজন পেসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম সে ক্যাম্পে। তখন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতাম না। এক ম্যাচে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে সেঞ্চুরি করলাম। ৯০ রানে যখন অপরাজিত ছিলাম, তখনো কোনো ছক্কা মারিনি। একজন বাঁহাতি স্পিনার এল, তাকে দুটো বড় ছক্কা মারলাম। ১১-১২ বছর বয়সে হাতে সাধারণত এত জোর থাকে না।’

এই ক্যাম্পেই যুবরাজের প্রথম উপলব্ধি হয়, তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা যথেষ্ট ভালো। ধীরে ধীরে তিনি মনোযোগী হন ব্যাটিংয়ে। বছর তিনেক আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছেন যুবরাজ। ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বিশেষ করে ওয়ানডেতে ধারাবাহিক স্ট্রোক প্লেতে যুবি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দুর্দান্ত এক ম্যাচজয়ী খেলোয়াড় হিসেবে। ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হওয়ার গল্প তো বললেন। কিন্তু পেস বোলিংটা ছেড়ে দিলেন, ঠিক কী কারণে?


‘ওই দিনই বুঝেছিলাম আমি ব্যাটিংও করতে পারি। ভেবেছিলাম পেস বোলিং অলরাউন্ডারই হব। কিন্তু পিঠের চোটটা বড় ভোগাতে শুরু করল। পরে স্পিন বোলিংয়ে মনোযোগী হলাম। হতাশ হয়ে ব্যাটও ভেঙেছিলাম। কিন্তু এখন খুশি যে অমন ঘটনা ঘটেছিল। ওটা না ঘটলে ব্যাটিংয় এতটা ঝুঁকতাম না,’ বলছিলেন যুবরাজ।