পুরোনোদেরও দিতে হবে দলে টিকে থাকার পরীক্ষা

প্রাথমিক দল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জেমি ডে। ফাইল ছবি
প্রাথমিক দল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জেমি ডে। ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের বাকি চারটি ম্যাচের জন্য গতকাল ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই দল নিয়ে আজ ইংল্যান্ড থেকে অনলাইনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দলের কোচ জেমি ডে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব এবং এএফসি কাপের সময়সূচি কাছাকাছি হওয়ার শঙ্কা নিয়েও কথা বলেছেন কোচ।

৩৬ সদস্যের দল সম্পর্কে জেমির বক্তব্য, ‘তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ ঘটেছে এবারের ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক দলে। দলে নতুন যে চার খেলোয়াড় ডাক পেয়েছে, লিগে তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছে। এখান থেকে ২৪ জনের দল তৈরি করা হবে। সাধারণত ২৩ জন রাখতে হয়। কিন্তু চোটের কথা মাথায় রেখে ২৪ সদস্যের দল গঠন করব। ’

চোট কাটিয়ে অনেক দিন বাদে দলে ফিরেছেন তিন মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ। অতীতে জাতীয় দলের জার্সিতে ভালো খেললেও দলে জায়গা পেতে হলে নতুন করেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে তাঁদের, ‘জাতীয় দলের হয়ে আগে ভালো খেলেছে জনি ও ফাহাদ। চোটের কারণে তারা লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিল। ক্যাম্পে বোঝা যাবে ওদের বর্তমান অবস্থা। ক্যাম্পে ভালো করলেই কেবল চূড়ান্ত দলে থাকতে পারবে।’

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের বাংলাদেশের দুইটি করে ম্যাচ অক্টোবর (৮ ও ১৩) ও নভেম্বরে ( ১২ ও ১৭)। এরই মাঝে অক্টোবরের ২৩ তারিখ থেকে মালদ্বীপে শুরু হবে বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের বাকি পাঁচটি ম্যাচ। জাতীয় দল ও বসুন্ধরার খেলা একই সময়ে বলে দল গঠনে ঝামেলা দেখা দিতে পারে। ভবিষ্যতে যেন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন জেমি, ‘বসুন্ধরা কিংসে জাতীয় দলের অনেক ( ১৪ জন) খেলোয়াড় আছে। যেহেতু একই সময়ে খেলা পড়েছে, তাই সংকট তৈরি হতে পারে। তবে আমি অস্কারের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি এই নিয়ে তেমন কোনো ঝামেলা হবে না। সব বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের ট্রেনিং সেশনগুলো সাজানো হবে। দরকার হলে বিশ্রাম দিয়ে অনুশীলন করানো হবে।’

৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাছাইপর্ব। এর আগে পুরোপুরি অনুশীলন করার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় পাবে বাংলাদেশ। একে পর্যাপ্ত সময় বলছেন কোচ, ‘প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোও প্রাক মৌসুমে ছয় সপ্তাহ অনুশীলন করে মাঠে খেলতে নেমে যায়। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে। কোনো খেলোয়াড় যদি ওজন বাড়িয়ে ফেলে তাহলে তাকে বিবেচনায় রাখা হবে না। তবে আমি আশা করব খেলোয়াড়রা ভালো অবস্থানে থেকে ট্রেনিংয়ে যোগ দেবে। গত তিন মাসে তারা আমাকে তাদের ট্রেনিং সেশনের ভিডিও পাঠিয়েছে নিয়মিত, তাদের ওজন, খাবার সম্পর্কেও আমরা অবগত। দুই সপ্তাহ ট্রেনিংয়ের পর আমার মনে হয় বাকি যে ঝামেলাগুলো আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠবে ওরা।’