পাগলের মতো খেতেন কোহলি

বিরাট কোহলি—তখন আর এখন। ফাইল ছবি
বিরাট কোহলি—তখন আর এখন। ফাইল ছবি
>বিরাট কোহলি ফিটনেসের দিক দিয়ে একেবারে বদলে ফেলেছেন। কীভাবে সম্ভব হলো এটা?

আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, ২২ গজে সফল হতে হলে একজন ক্রিকেটারকে এতে ভীষণ মনোযোগী হতে হয়। সফল ক্রিকেটার হতে হলে কেমন ফিটনেস থাকা চাই, তার আদর্শ উদাহরণ অবশ্যই বিরাট কোহলি।

ফিটনেসে ধারাবাহিক ‘এ প্লাস’ পেয়ে থাকেন ভারতীয় তারকা। তবে একটা সময় ছিলেন ফিটনেসের প্রতি ভীষণ অমনোযোগী। কীভাবে ফিটনেসের ব্যাপারে তাঁর ভাবনা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল, সে গল্পই সম্প্রতি শুনিয়েছেন কোহলি।

 বিসিসিআই টিভিতে সতীর্থ মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিটনেসে উন্নতি করার গল্পটা বলতে গিয়ে কোহলি ফিরে গেলেন ২০১২ আইপিএলে, ‘২০১২ আইপিএল খেলে বাড়িতে ফিরেছি। নিজেকে দেখলাম। ভীষণ রাগ হলো। আসলে আমার সবকিছুই বদলে ফেলতে চেয়েছিলাম। দেখছিলাম বিশ্ব ক্রিকেট কীভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে। অন্য দলের খেলোয়াড়েরা যে ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের তুলনায় আমি কোথায়! দেখছিলাম, ফিটনেসের দিক দিয়ে তারা আমাদের চেয়ে কত দ্রুত এগোচ্ছে।’

এই উপলব্ধি থেকেই ফিটনেসে কোহলির আমূল বদলে যাওয়া। সেই বদলে যাওয়ার আগে ভারতীয় তারকার ফিটনেস কেমন ছিল, মনে আছে? তখন খাদ্যাভ্যাসে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল না কোহলির। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন বলে বড় একটা সময় কাটত হোটেল আইটিসি গার্ডেনিয়ায়। হোটেলের মিনিবারে সব সময়ই থাকত চকলেট। সেই চকলেট কীভাবে সাবাড় করতেন করতেন, সেটি শুনুন কোহলির কাছ থেকেই, ‘আইটিসি গার্ডেনিয়ায় আমরা বেশির ভাগ সময় থাকতাম। ওদের মিনিবারে টফির প্যাকেট থাকত, যেটা ফুরিয়ে গেলে আবার ভরা হতো। আমি ৪০ চকলেটের একটা প্যাকেট চার থেকে পাঁচ দিনে ফুরিয়ে ফেলতে পারতাম! ওই সময় এটাই ছিল আমার খাদ্যাভ্যাস। পাগলের মতো খেতাম! তখন আসলে ভাবনাটা ছিল এমন, অনেক কিছু পেয়ে গেছি (বিশেষ করে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতা), সবকিছু প্রত্যাশামতোই চলছে। ভেবেছি আইপিএল খেলতে এসেছি, আমিই রাজত্ব করব।’

কিন্তু এমন ভাবনা যে সঠিক ছিল না কোহলি তা দ্রুতই বুঝতে পারেন। উপলব্ধি করেন, পথটা বড় কাঁটায় ভরা। দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় তারকা, ‘যেভাবে ভেবেছি, সেভাবে সফল হতে পারছিলাম না। মানুষের প্রশংসা কিংবা সম্মান সেভাবে পাচ্ছিলাম না। বাড়িতে ফিরে আমার উপলব্ধি হলো আমাকে আমূল বদলে ফেলতে হবে। নিজেকে তৈরি করার প্রক্রিয়াটা এভাবেই বদলে ফেলেছি।’

শুধু নিজেকেই বদলাননি কোহলি, পুরো ভারতীয় দলে সেটির প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু ভারতীয় দল? কোহলির পরিশ্রম, নিবেদন, ফিটনেস নিয়ে কাজ—বর্তমান ক্রিকেটেই তো বড় এক উদাহরণ।