খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সিও যখন অবসরে

>
কিংবদন্তিদের জার্সি অবসরে পাঠানোর রীতি আছে ফুটবলে। ফাইল ছবি
কিংবদন্তিদের জার্সি অবসরে পাঠানোর রীতি আছে ফুটবলে। ফাইল ছবি

কেউ হয়তো পুরো ক্যারিয়ার এক ক্লাবে খেলেছেন, কারও নাম জড়িয়ে গেছে ক্লাবের সাফল্যে। আবার কারও ক্ষেত্রে জড়িয়ে বেদনাবিধুর কোনো গল্প। একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর জার্সিও অবসরে যাওয়ার গল্পগুলোতে জড়িয়ে বিচিত্র অনুভূতি-

কী একটা কাণ্ড করে বসল বার্মিংহাম! 
কতশত খেলোয়াড় জীবনের লম্বা সময় একই ক্লাবে পার করেও তারকার সম্মান পাননি, সেখান বার্মিংহাম কিনা মাত্র ৪৪ ম্যাচে ৪ গোল করা একজনকে কিংবদন্তির সম্মান দিতে তাঁর জার্সি নম্বরটাই অবসরে পাঠিয়ে দিল! সম্মানটা পাওয়া খেলোয়াড়ের নাম জুড বেলিংহাম, যাঁর বয়স কিনা মাত্র ১৭ চলছে। ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্ত খেলোয়াড় আর গোলদাতা হওয়ার বাইরে যাঁর দলকে কোনো বড় কিছু জেতানোই হয়নি।

নাপোলি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ১০ নম্বর জার্সিটাকে চিরতরে শুধুই ম্যারাডোনার করে রেখেছে ক্লাবে। ফাইল ছবি
নাপোলি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ১০ নম্বর জার্সিটাকে চিরতরে শুধুই ম্যারাডোনার করে রেখেছে ক্লাবে। ফাইল ছবি

বেলিংহামকে দিয়ে আরেকটা ‘অর্জন’ অবশ্য হয়েছে বার্মিংহামের। সম্প্রতি বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে তাঁকে বিক্রি করে আড়াই কোটি পাউন্ডেরও বেশি পেয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। দলবদলটার পরপরই বার্মিংহামের ঘোষণা আসে, বেলিংহামের ২২ নম্বর জার্সিটাকে অবসরে পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা! বলাবাহুল্য, হাস্যকর সিদ্ধান্তটা নিয়ে ক্লাবের সমর্থকেরাই বেশ খেপেছেন।
ফুটবল ইতিহাসে জার্সি অবসরে পাঠানোর রঙিন ইতিহাসে না হয় আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়েই থাকল ঘটনাটা। এর বাইরে খেলোয়াড়ের সঙ্গে একটা জার্সির অবসরে যাওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আবেগ। বার্মিংহামেরটাও আবেগ, তবে তাতে বেশ বাড়াবাড়ি আছে আর কি! 
সাদা চোখে একটা জার্সি মানে শুধুই একটা সংখ্যা মনে হতে পারে। তবে খেলোয়াড়দের কাছে, তাঁর ভক্তদের কাছে ওই সংখ্যাটা খেলোয়াড়ের সর্বনাম। চোখ বন্ধ করেই ভাবুন না! ১০ নম্বর জার্সি বললে হয়তো পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, লিওনেল মেসি, জিনেদিন জিদান কিংবা রোনালদিনহোর ছবি ভাসবে কল্পনায়। ৭? রাউল গঞ্জালেস, ডেভিড বেকহাম কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এঁরা অবসরে যাওয়ার পর অনেক ভক্ত মন যে এই জার্সিগুলো অন্য কারও গায়ে দেখতে চায় না! সেই আবেগ থেকেই হয়তো জার্সিকেও অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত। 
ফুটবলে প্রসঙ্গটা আলোচনায় এলে খুব একটা না ভেবেই পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ইয়োহান ক্রুইফ নামগুলো চলে আসে মুখে মুখে। আশির দশকে জুভেন্টাস, এসি মিলানের মতো ক্লাবগুলোকে কাবু করে রেখে কোথাকার কোন নাপোলিকে দুবার লিগ জেতানোই ম্যারাডোনাকে নাপোলিতানদের কাছে ঈশ্বরতুল্য করে রেখেছে। এর সঙ্গে উয়েফা কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ ও কোপা ইতালিয়াও যোগ করে নিন। নাপোলি যে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ১০ নম্বর জার্সিটাকে চিরতরে শুধুই ম্যারাডোনার করে রেখেছে ক্লাবে, এতে আর আশ্চর্য কী! 

নিউইয়র্ক কসমস ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটা উঠিয়ে রেখেছে। ফাইল ছবি
নিউইয়র্ক কসমস ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটা উঠিয়ে রেখেছে। ফাইল ছবি

আর্জেন্টিনাও তা চেয়েছিল। কিন্তু ফিফা বাধ সাধে। ১০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠালে ফিফার টুর্নামেন্টে ২৩ জনের বদলে ২২ জন নিয়ে খেলতে হবে, এ নিয়মের কাছে হার মানে আর্জেন্টাইন আবেগ। 
পেলের আজীবনের ক্লাব সান্তোসে তাঁর জার্সি অবসরে পাঠায়নি। হয়তো নিয়মিত জার্সিটার উত্তরসূরি খুঁজে নিয়েই পেলের স্মৃতি বয়ে নিতে চেয়েছে তারা সব সময়। তবে ক্যারিয়ারের শেষদিকে যে ক্লাবে দুই বছর খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেই নিউইয়র্ক কসমস ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটা উঠিয়ে রাখে। 
আয়াক্সে সে বিশেষ সম্মান পায় ১৪ নম্বর জার্সি। পাবে না-ই বা কেন? এ যে ইয়োহান ক্রুইফের জার্সি। আয়াক্স তো বটেই, হল্যান্ড ছাড়িয়ে বিশ্ব ফুটবলেরই ধরন-ধারণা বদলে দেওয়া সত্তর দশকের আয়াক্স দলের প্রাণ ক্রুইফকে এতটুকু সম্মান না দেখালে হয়! সিদ্ধান্তটা অবশ্য আয়াক্স নিয়েছে অনেক পরে এসে, ২০০৭/০৮ মৌসুম থেকে। ভালো একটা ক্যুইজও হতে পারে এ নিয়ে। আয়াক্সে সর্বশেষ ১৪ নম্বর জার্সি পরা খেলোয়াড়ের নাম কি? গুগল না করেই যদি থমাস ভারমেলেনের নাম আপনার মনে এসে থাকে, নিজেকে ফুটবলের দু-পেয়ে ‘উইকিপিডিয়া’ চাইলে ভাবতে শুরু করে দিতে পারেন। 
পাওলো মালদিনির জার্সিটা অবশ্য এসি মিলান যে একেবারে অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছে, তা নয়। কিংবদন্তি ইতালিয়ান ডিফেন্ডার নিজেই অনুমতি দিয়ে রেখেছেন, তাঁর ছেলেদের কেউ মিলানে খেললে তাঁরা মালদিনি বংশের গৌরব হয়ে থাকা ৩ নম্বর জার্সিটা পরতে পারবেন। 

পাওলো মালদিনির পরা এসি মিলানের ৩ নম্বর জার্সিও অবসরে। ফাইল ছবি
পাওলো মালদিনির পরা এসি মিলানের ৩ নম্বর জার্সিও অবসরে। ফাইল ছবি

এসি মিলানে ৩ নম্বর জার্সি অবসরে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলান এদিক থেকে আক্ষরিক অর্থে ‘১’ ঘর এগিয়ে। তারা অবসরে পাঠিয়েছে ৪ নম্বর জার্সি। কেনই-বা দেবে না! ২৩ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ ২০ বছরই ইন্টারকে ‘ঘর’ বানিয়ে রাখা আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হাভিয়ের জানেত্তি যে শুধু ক্লাবটাতেই নয়, ঘর বানিয়ে রেখেছেন ইন্টার সমর্থকদের মনকেও। 
ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হাম ঠিক একই কারণে অবসরে পাঠিয়েছে ৬ নম্বর জার্সিকে। কে পরতেন সেটি? ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম গ্রেট, ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী ববি মুর। 
হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট হনভেদ যে সম্মান দেখিয়েছে ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। ক্লাবের হয়ে ৩০০ ম্যাচের বেশি খেলেছেন, ম্যাচপ্রতি একটি করে গোল। হনভেদকে তো বিরল সম্মান এনে দিয়েছেনই, পঞ্চাশ দশকের হাঙ্গেরির ইতিহাস রাঙানো ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার্স দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন পুসকাস। তাঁর জন্য এতটুকু তো হনভেদ করতেই পারে! 
এই মৌসুমে ইতালিয়ান ফুটবলের শীর্ষ স্তর থেকে অবনমিত ব্রেসিয়া হয়তো মারিও বালোতেল্লিকে ঘিরে আরেকটি ‘রবার্তো বাজ্জো’র স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে পেনাল্টি উড়িয়ে মারার পর নিজে কেঁদে, ভক্তদের কাঁদানো ইতালি কিংবদন্তি ২০০০ সালে যখন ব্রেসিয়ায় যোগ দেন, তাঁর বয়স ৩৩। এ বয়সে আর কী-ই বা করতে পারবেন বাজ্জো—এমনটা যাঁরা ভেবেছেন, তাঁর ভুল ভেঙেছে ইতালির ফুটবলে খর্বশক্তির ক্লাবটার জার্সিতে লিগে ৯৫ ম্যাচে বাজ্জোর ৪৫ গোল। যে চার মৌসুম ব্রেসিয়াতে ছিলেন, একবারও দলকে অবনমিত হতে দেননি। তাঁর ১০ নম্বর জার্সি আর কাকে দিতে পারত ব্রেসিয়া! 
ওহ, বালোতেল্লি এবার কী করতে পেরেছেন সেখানে, তা-ই তো বলা হয়নি। গত মৌসুমে সিরি ‘আ’-তে উঠে আসার পর নিজেদের শহরেরই ছেলে বালোতেল্লিকে ফিরিয়ে আনে ব্রেসিয়া। তাঁরও ক্যারিয়ারটা থমকে গেছে, নিজ শহরের ক্লাবে ফিরে খ্যাপাটে ইতালিয়ান যদি ফিরে পান নিজেকে, এই আশায় আর কী! লম্বা গল্প সংক্ষেপে করলে, মৌসুম শেষে ব্রেসিয়া অবনমিত, আর মৌসুম শেষ হওয়ার আগে বালোতেল্লির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ব্রেসিয়া। তাঁর ৪৫ নম্বর জার্সিটার দুঃস্বপ্ন থেকে দ্রুত মুক্তি পেতেই হয়তো! 
আবার জার্সি অবসরের গল্পে ফেরা যাক। রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের আবেগে নিশ্চিত টোকা দিয়ে যাবে পরের গল্পটা। সেটি যে রিয়ালের সমার্থক হয়ে যাওয়া রাউল গঞ্জালেসের। যাঁর কারণে আদর করে রিয়ালকে ‘রাউল মাদ্রিদ’ ডাকা হতো। রিয়ালে তাঁর ৭ নম্বর জার্সিটা অবসরে যাচ্ছে না, সেটি ২০০৯ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়ালে যাওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ওই মৌসুমটা রাউল ছিলেন বলে রোনালদো ৯ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিলেন। পরের মৌসুমে রাউল গেলেন শালকেতে, রোনালদো আবার ফিরে পেলেন তাঁর রাজত্ব। রিয়ালে তাঁর জার্সিটা যোগ্য উত্তরসূরি পেয়েছে, আর শালকেতে রাউলের জার্সি পেয়েছে বিশেষ সম্মান। মাত্র দুবছরই খেলেছেন ক্লাবটাতে, কিন্তু তাঁর বিদায়ের ক্ষণে রাউলের ‘৭’ নম্বর জার্সিটাও তুলে রাখে শালকে। তবে আবেগটা রাউলের শালকে ক্যারিয়ারের চেয়েও ছিল ক্ষণস্থায়ী! পরের বছরই তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল ম্যাক্স মায়ারকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন বোনে শালকে, ৭ নম্বর জার্সিটাও তুলে দেয় তাঁকে। পিছু ফিরে শালকের হয়তো মনে হয়, তা না করলেই ভালো হতো! শুরুর প্রতিশ্রুতির ছিঁটেফোঁটাও পূরণ করতে না পারা মায়ারের এখন ঠাঁই হয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিস্টাল প্যালেসে।
ম্যাথু ভালবুয়েনার গল্পটা তো আরও মজার। মার্শেইতে দারুণ সফল ৯টি বছর কাটিয়ে ২০১৪ সালে ভালবুয়েনা ক্লাব ছাড়ার সময় তাঁর ২৮ নম্বর জার্সিটা তুলে রাখে মার্শেই। কিন্তু ভালবুয়েনার কী খেয়াল হলো! ডায়নামো মস্কোতে এক বছর কাটিয়ে আবার ফিরলেন ফ্রান্সে, তা-ও কিনা মার্শেইয়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অলিম্পিক লিওঁতে। মার্শেইয়ের আর কী ঠেকা পড়েছে এমন একজনকে সম্মান দেখানোর! ২৮ নম্বর জার্সি তাই আবার অবসর থেকে ফেরত এনেছে তারা। 
এ তো গেল সম্মান দেখানো আর সেটি কেড়ে নেওয়ার আবেগী মজার গল্প। জার্সি অবসরে যাওয়ার পেছনে কিছু গল্প আরেকটু দীর্ঘশ্বাস জাগানোরও। মার্ক ভিভিয়েন ফো যেমন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। ১৯৯৯ সালে পা ভেঙে যাওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া হয়নি তাঁর। পরে ২০০২-০৩ মৌসুমে লিওঁ থেকে ধারে আসেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমই হয়ে থাকল সেটি। ২০০৩ কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনালে ক্যামেরুনের হয়ে খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান এই মিডফিল্ডার। তা-ও ম্যাচটা হচ্ছিল কোথায়? তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি বনে যাওয়া লিওঁতেই। তাঁর সম্মানে ফো-র ২৩ নম্বর জার্সিটা চিরতরে তুলে রাখে লিওঁ ও সিটি দুই ক্লাবই।
দানি হার্কের গল্পটাও একই রকম। দানি হার্কে নামটা শুনলেই ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার গোল উদ্‌যাপনের দৃশ্য ভেসে আসার কথা। হল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে সেদিন স্পেনকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া গোলটি করার পর উদ্‌যাপনে জার্সি উঁচিয়ে ভেতরের গেঞ্জির লেখাটা তুলে ধরেন ইনিয়েস্তা। সেখানে লেখা ছিল, ‘দানি হার্কে, সব সময়ই আছো আমাদের সঙ্গে।’ ইনিয়েস্তা-তোরেসদের সঙ্গে স্পেনের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ইউরো জেতা হার্কেকে ওই বিশ্বকাপের আগের বছরই চিরতরে কেড়ে নেয় হার্ট অ্যাটাক। দিনটি ছিল ৮ আগস্ট, ২০০৯। ওই মৌসুমেই এসপানিওলের অধিনায়ক হওয়া হার্কে ইতালিতে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির সময় হোটেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান, মাত্র ২৬ বছর বয়সে। বন্ধুকে সম্মান জানাতেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ইনিয়েস্তার ওভাবে গোল উদ্‌যাপন। তাঁর ক্লাব এসপানিওলও হার্কের ২১ নম্বর জার্সিটা উঠিয়ে রাখে চিরতরে। এখনো নিজেদের মাঠে এসপানিওলের প্রতিটি ম্যাচের ২১তম মিনিটে সমর্থকদের করতালি বলে, হার্কে বেঁচে আছেন এসপানিওল সমর্থকদের মনের ছোট্ট কোনো কোণে।
আচ্ছা, এত যে জার্সির অবসরে যাওয়ার গল্প হলো। আরেকটা ক্যুইজ হয়ে যাক। বলতে হবে, সব খেলা মিলিয়ে সবার প্রথম কোন খেলোয়াড়ের জার্সি অবসরে যায়?
এইস বেইলি—নামটা গুগল করে নিন। উত্তর মিলে যাবে। আইস হকি দল টরোন্টো ম্যাপল লিফস তাঁর জার্সি অবসরে পাঠানোর ঘটনাটা আজ থেকে ৮৬ বছর আগের।