ছেলেদের দলে খেলবে এক মেয়ে ফুটবলার

সতীর্থদের সঙ্গে ক্লাবের জার্সির বিজ্ঞাপনে ফোক্কেমা। ছবি: টুইটার
সতীর্থদের সঙ্গে ক্লাবের জার্সির বিজ্ঞাপনে ফোক্কেমা। ছবি: টুইটার

ভায়োলা হেস্টিংসের কথা মনে আছে? ওই যে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ফুটবলার হিসেবে গোনায় ধরা হচ্ছিল না তাঁকে, দলও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে ভাইয়ের নতুন স্কুলে ছদ্মবেশে হাজির হলেন। ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে জায়গা করে নিলেন ছেলেদের ফুটবল দলেই। নিজ যোগ্যতায় দল জিতিয়ে বুঝিয়ে দিলেন দক্ষতা আর একাগ্রতাই একজন ফুটবলারের দলে জায়গায় পাওয়ার মাপকাঠি। নারী বা পুরুষ পরিচয়ে কিছু যায় আসে না। 'সি ইজ দ্য ম্যান'-চলচ্চিত্রটা কিছুটা হলেও বাস্তব হতে যাচ্ছে এবার।

ভায়োলার মতো ছদ্মবেশে নয়, রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ছেলেদের দলে এক মেয়ের সুযোগ পাওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। এত দিন শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় পর্যন্ত সুযোগটা ছিল। হল্যান্ডের ফুটবলে বয়সভিত্তিক এ পর্যায় পর্যন্ত মেয়েরা আর ছেলেরা একসঙ্গেই ফুটবল খেলার সুযোগ পেত। এরপর ছেলেরা যোগ্যতা অনুযায়ী মূল দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলেও মেয়েদের খেলতে হতো রিজার্ভ দলের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার নেওয়া এক পাইলট প্রকল্পের আওতায় সে সিদ্ধান্তে যুগান্তকারী বদল আনতে যাচ্ছে হল্যান্ড। ছেলেদের সঙ্গে একই দলে খেলবেন এক নারী ফুটবলার।

সিদ্ধান্তটা অবশ্য ডাচ ফুটবলের নবম স্তরে কার্যকর হবে। এলেন ফোক্কেমা নামের ১৯ বছর বয়সী মেয়ে খেলবেন নবম বিভাগের দল ভিভি ফোয়ারুতের মূল দলের সঙ্গে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই লিঙ্গভেদে খেলোয়াড়দের আলাদা করার পর্যায়টা ভিন্ন। ডেনমার্কে যেমন যোগ্য হলে ছেলে-মেয়েরা একই দলে খেলতে পারবেন। ইতালি-জার্মানিতে লিঙ্গভেদে খেলোয়াড়দের আলাদা করা হয় ১৭ বছর বয়সে। ইংল্যান্ডে ১৮। হল্যান্ডে সেই বয়সের সীমাটা এত দিন ছিল ১৯।

সেই সীমা ভাঙার সুযোগ পেয়ে ফোক্কেমা স্বাভাবিকভাবেই খুশি, 'এ দলেই খেলতে পারব ভেবে দারুণ লাগছে। এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে একসঙ্গে খেলে আসছি। আগামী বছর ওদের সঙ্গে একসঙ্গে খেলতে পারব না ভেবে এত দিন খারাপ লাগছিল।'