অ্যাটলেটিকোর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নে করোনার হানা

করোনা আঘাত হেনেছে অ্যাটলেটিকোতে। ছবি: এএফপি
করোনা আঘাত হেনেছে অ্যাটলেটিকোতে। ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে আস্তে আস্তে বাদ পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল, জুভেন্টাসের মতো দল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়বে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে যেকোনো একটি পরাশক্তি দল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নিজেদের ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ক্ষেত্রে অ্যাটলেটিকোর পথটা অতীতের মতো অতটা কণ্টকাকীর্ণ নয়। তার ওপর কোয়ার্টারে তারা লড়বে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নটা দিন দিন বড় হওয়ার কথা অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড়দের মধ্যে। ফুলে ওঠার কথা আশার বেলুন।

সে আশার বেলুন একটু হলেও চুপসে গেল মনে হয়। এর আগে অন্যান্য দলে করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড় বা কর্মকর্তার নাম শোনা গেলেও এত দিন এ ব্যাপারে এক রকম ভাগ্যবানই ছিল মাদ্রিদের এই দলটা। কিন্তু নিজেদের চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রার এই পর্যায়ে এসে ভাগ্য তাদের আর সহায়তা দিল না। জানা গেছে, অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত দুজন করোনা পজিটিভ। এঁদের মধ্যে অন্তত একজন খোদ খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার খেলতে পর্তুগালের লিসবনে পাড়ি জমানোর কথা দলটার। লিসবনগামী ৯৩ সদস্যের সে দলটার করোনা পরীক্ষা করা হয় যাত্রার আগে। সে পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে করোনার অস্তিত্ব। এখন সে দুজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অ্যাটলেটিকো জানিয়েছে, ‘গত আট তারিখ শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য লিসবনে যাওয়ার ঠিক আগে উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী সিউদাদ দেপোর্তিভা দে মাহাদাহোন্দাতে আমাদের খেলোয়াড় ও ও কর্মকর্তাদের পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, দুজন করোনা পজিটিভ। দুজনকেই নিজেদের বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ব্যাপারটা এর মধ্যেই উয়েফা, স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ স্বাস্থ্য সংস্থা, ফুটবল ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া কাউন্সিলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই রকম ভাবে এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সকল প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে। লিসবনে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাকিদের আবার পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। করোনা আক্রান্ত দুজনের সান্নিধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি থাকেন এ কয়দিনে তাদের বের করা হবে। যে কারণে অনুশীলন শিডিউল, পর্তুগালের রাজধানীতে থাকার জায়গা, ও যাত্রার সকল কার্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে। নতুন পরিকল্পনা খুব শিগগিরই উয়েফাকে জানানো হবে, জানানো হবে বাকি সবাইকেও। আমরা অনুরোধ করছি, আক্রান্ত দুজনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁদের নাম-পরিচয় যেন গোপন রাখা হয়।’

অনুমান করা হচ্ছে, দুজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও এর মধ্যেই সে দুজন পরীক্ষার আগে আরও কয়েকজনকে করোনা আক্রান্ত করে দিয়ে গেছেন। যে কারণে সোমবারে আবারও আরেকটা পরীক্ষা করা হবে। সোমবার পর্যন্ত তাই যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।