অ্যাটলেটিকোয় করোনার হানা, তবে পেছাচ্ছে না ম্যাচ

অ্যাটলেটিকোর দুজন খেলোয়াড়ের করোনা ধরা পড়েছে। তবে রেড বুল লাইপজিগের বিপক্ষে মাদ্রিদের দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ঠিক সময়েই হবে। ফাইল ছবি
অ্যাটলেটিকোর দুজন খেলোয়াড়ের করোনা ধরা পড়েছে। তবে রেড বুল লাইপজিগের বিপক্ষে মাদ্রিদের দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ঠিক সময়েই হবে। ফাইল ছবি
ইউরোপিয়ান ফুটবল প্রতিযোগিতায় উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দলে একজন গোলকিপারসহ ১৩ জন খেলোয়াড় সুস্থ থাকলেই যেকোনো ম্যাচ হওয়ার কথা

ইউরোপের ফুটবল আকাশে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে আবার সংশয়ের ঘনঘটা দেখা দিয়েছিল। কারণ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে করোনার হানা। গত শনিবার দলটির দুজন খেলোয়াড় আনহেল কোরেয়া ও সিমে ভরসালিয়োকোর করোনা ধরা পড়েছে। তবে এ দুজনের করোনা ধরা পড়ার কারণে পেছাচ্ছে না কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রেড বুল লাইপজিগের ম্যাচটি। আগের সূচি অনুযায়ী ম্যাচটি আগামী বৃহস্পতিবারই হবে বলে আজ জানিয়েছে ইউরোপের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।

আজ দলের বাকি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসাই এর কারণ। ইউরোপিয়ান ফুটবল প্রতিযোগিতায় উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দলে একজন গোলকিপারসহ ১৩ জন খেলোয়াড় সুস্থ থাকলেই যেকোনো ম্যাচ হওয়ার কথা। অ্যাটলেটিকো-লাইপজিগ ম্যাচটি সূচি অনুযায়ী হওয়া নিয়ে উয়েফার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ম্যাচটি সূচি অনুযায়ী হবে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে আমরা আর কিছু বলতে পারব না।’

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে এরই মধ্যে বাদ পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল, জুভেন্টাসের মতো দল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়বে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে যেকোনো এক পরাশক্তি। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অ্যাটলেটিকো হয়তো নিজেদের ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। এর মধ্যেই দুজন খেলোয়াড়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসায় আশার সে বেলুনটা একটু চুপসেই যাওয়ার কথা অ্যাটলেটিকোর। দুজনের করোনাভাইরাস থাকলে অন্যদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছিল অনেকেই। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই হয়তো হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন অ্যাটলেটিকোর কোচ ডিয়েগো সিমিওনে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পর্তুগালের লিসবনে পাড়ি জমাবে অ্যাটলেটিকো। লিসবনগামী ৯৩ সদস্যের সে দলটার করোনা পরীক্ষা করা হয় যাত্রার আগে। সে পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে করোনার অস্তিত্ব। এখন ওই দুই খেলোয়াড়কে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে প্রক্রিয়ার শেষ এখানেই নয়। লিসবনে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাকিদের আবার পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। করোনা আক্রান্ত দুজনের সান্নিধ্যে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ছিলেন তাঁদের বের করা হবে। যে কারণে অনুশীলন সূচি, পর্তুগালের রাজধানীতে থাকার জায়গা, ও যাত্রার সকল কার্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে।

অ্যাটলেটিকো এক বিবৃতেতে বলেছে, ‘নতুন পরিকল্পনা খুব শিগগিরই উয়েফাকে জানানো হবে, জানানো হবে বাকি সবাইকেও।’