'কলকাতা থেকে গেলেই তো পারো', রফিককে বলেছিলেন সৌরভ

সৌরভের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রফিকের। ফাইল ছবি
সৌরভের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রফিকের। ফাইল ছবি

ক্রিকেট মাঠে কতবারই তো সৌরভ গাঙ্গুলীর মুখোমুখি হয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সৌরভের সঙ্গে যে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে অনেকবারই। ঢাকা বা কলকাতা কিংবা বিশ্বের অন্য কোনো শহরে সৌরভের সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতি সব সময়ই মধুর বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের।

সৌরভের সঙ্গে বহু সাক্ষাতের একটি স্মৃতি রফিককে নাড়া দিয়ে যায় এখনো। বিশেষ করে ভারতের সাবেক অধিনায়কের আন্তরিকতা ও বন্ধুবাৎসল্য। একবার কলকাতায় সৌরভ নাকি রফিককে বলেই বসেছিলেন, ‘কলকাতায় যখন এতবার আসো, তখন থেকে গেলেই পারো।’

কথাটা এমন কিছুই নয়। হয়তো কথার কথা। রফিক সেটি জানেনও। কিন্তু এ কথাটির বলার মধ্য দিয়ে সৌরভ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছিলেন, সেটিই রফিকের কাছে অনেক কিছু, ‘সৌরভের সঙ্গে অনেকবারই দেখা হয়েছে। মাঠে অনেকবারই মুখোমুখি হয়েছি। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আমার খুবই ভালো। একবার কলকাতায় রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে গেছি। সৌরভও এসেছিলেন খেলাটা দেখতেই। আমার সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, তুমি তো প্রায়ই কলকাতা আসো। এত যখন আসো, থেকে গেলেই পারো। কথাটা এমন কিছু নয়। হয়তো ভদ্রতা করেই বলেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে একটা আন্তরিকতা দেখেছিলাম। সেটা অন্য রকম।’

মাঠে রফিকের সঙ্গে সৌরভের লড়াইটা যথেষ্ট পুরোনোই। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি টেস্টে রফিক সৌরভকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন। সে টেস্টগুলোর ফল ভারতের দিকে হেলে থাকলেও ব্যক্তিগত লড়াইয়ে রফিক কিন্তু সৌরভের বিপক্ষে জিতেছেন বেশ কয়েকবারই। টেস্টে তিনবার সৌরভের উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে তিনি প্রথম ফেরান সৌরভকে। এরপর ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় আরও দুবার।

৫০ ওভারের ক্রিকেটে সৌরভকে রফিক ফিরিয়েছেন দুবার। দুবারই বিদেশের মাটিতে। প্রথমবার ২০০৪ সালে কলম্বো এশিয়া কাপে। দ্বিতীয়বার ২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে। পোর্ট অব স্পেনের ওই উইকেটটি রফিককে হয়তো সব সময়ই অন্য রকম তৃপ্তি দিয়ে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচেই যে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে ৩৩টি টেস্ট ও ১২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন রফিক। ওয়ানডেতে ১২৫ উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা উইকেটশিকারি। বড় সংস্করণে তাঁর ১০০ উইকেটও প্রমাণ করে তাঁর সামর্থ্য।