পিরলোর পরিকল্পনায় নেই হিগুয়েইন-খেদিরা

আগামী মৌসুমে জুভেন্টাসে নাও দেখা যেতে পারে গঞ্জালো হিগুয়েইন ও স্যামি খেদিরাকে। ফাইল ছবি
আগামী মৌসুমে জুভেন্টাসে নাও দেখা যেতে পারে গঞ্জালো হিগুয়েইন ও স্যামি খেদিরাকে। ফাইল ছবি

এখনো এক সপ্তাহ পেরোয়নি আন্দ্রেয়া পিরলো জুভেন্টাসের কোচ হয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সে তো করতেই হবে। দলবদল চলছে, আগামী মৌসুমের জন্য শক্তিশালী একটি দল গড়তে হবে না!

নিজের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন পিরলো। সমঝোতার মাধ্যমে এরই মধ্যে ব্লেইস মাতুইদির চুক্তি বাতিল করেছে জুভেন্টাস। তুরিনে আরও দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরও বিদায় ঘণ্টা বাজতে চলেছে। পিরলো নাকি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েইন ও স্যামি খেদিরা তাঁর পরিকল্পনায় নেই। বেতন সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও পাওলো দিবালার মধ্যে যে একজনকেও ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে জুভেন্টাসের।

ফুটবল বিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট গোলডটকম জানতে পেরেছে, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হিগুয়েইন ও জার্মান মিডফিল্ডার খেদিরাকে জুভেন্টাস বলে দিয়েছে তাঁরা চাইলে চলে যেতে পারেন। আগামী মাসেই শুরু হবে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’। এর আগে দল গোছানোর জন্য তাড়াহুড়ো শুরু করে দিয়েছেন পিরলো। অলিম্পিক লিঁওর কাছে অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। এরপরই মরিসিও সারিকে বরখাস্ত করে তুরিনের ক্লাবটি। তাঁর জায়গায় পিরলোকে নিয়োগ দিয়েছে জুভরা।

ফরাসি মিডফিল্ডার মাতুইদি সারির অধীনে জুভেন্টাসের শুরুর একাদশে নিয়মিত ছিলেন। ৩৩ বছর বয়সী মাতুইদি আজই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে নাম লিখিয়েছেন। হিগুয়েইন ও খেদিরাকেও নতুন ক্লাব খুঁজে নিতে বলা হয়েছে। দুজনেই খুব ভালো বেতন পেতেন আর আগামী বছর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল তাঁদের।

গত মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন হিগুয়েইন, করেছেন ১১ গোল। এর আগে আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেটে তাঁর যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেছে। ইউরোপের ক্লাবগুলোও তাঁকে নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খেদিরাকে অবশ্য গত মৌসুমে জুভেন্টাসের শুরুর একাদশে খুব বেশি দেখা যায়নি। মাত্র ১৮টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই খেলেছেন তিনি। কয়েক বছর ধরেই চোটে ভুগছেন খেদিরা। গত বছর তো হৃদ্‌রোগ সংক্রান্ত জটিলতাও দেখা দিয়েছে। গত মৌসুমেও হাঁটুর চোটের কারণে তিন মাস ছিলেন মাঠের বাইরে।