পিএসজিকে হারালেই ফাইনালে লাইপজিগ

চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে লাইপজিগ। ছবি: রয়টার্স
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে লাইপজিগ। ছবি: রয়টার্স

নিখুঁত পাস আর গতিময় ফুটবল। পুরো ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে লাইপজিগ। প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের ২ গোলেই কাজের কাজ হয়ে যায়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২–১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লাইপজিগ।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ আর ক্ষীপ্রতা দিয়ে অ্যাটলেটিকোকে কাবু করে ফেলে লাইপজিগ। বলের দখলেও প্রথমার্ধে অনেক এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে গোলের দেখাই পাচ্ছিল না জার্মান দলটি। প্রথমার্ধে ওব্লাককে খুব বেশি পরীক্ষাও দিতে হয়নি; বরং ভালো সুযোগ তৈরি করেছে অ্যাটলেটিকোই। কিন্তু তারাও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ।

গোলশূন্য প্রথামার্ধের পর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি গোলের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের গেরো খোলে লাইপজিগ। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ডেনি ওলমোর অসাধারণ এক হেডে ১–০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। গোল হজম করে খেলায় গতি আসে অ্যাটলেটিকোর। বলের দখল আর আক্রমণেও ধার বাড়ে স্প্যানিশ ক্লাবের। শেষতক ম্যাচের ৭১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জো ফেলিক্স।

ম্যাচের ভাগ্য তখন পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। দুই দলই তখন গোলের জন্য মরিয়া। কিন্তু শেষ হাসি হাসে লাইপজিগ। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক বাকি। দুই দলের সমর্থকদের বুকের ধুকপুকানি যখন তুঙ্গে, তখনই অ্যাটলেটিকোর কফিনে শেষ প্যারেকটি ঠুকে দেন টেইলার অ্যাডামস। বক্সের সামান্য বাইরে বল পেয়ে খানিকটা সময় নিয়ে জোরালো শট নেন বদলি খেলোয়াড় অ্যাডামস। তাঁর শট অ্যাটলেটিকোর সেবিচের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি অ্যাটলেটিকোর।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে তো হারানো হলো। এবার পিএসজিকে হারাতে পারলেই লাইপজিগের শিরোপা ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন হয়তো সত্যিও হতে পারে। কে জানে! সেমিতে লাইপজিগের প্রতিপক্ষ ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারলেই স্বপ্নের ফাইনালে লাইপজিগ।