লাইপজিগের উত্থানে এক আমেরিকান যুবকের ইতিহাস

গোল করার পথে শট নিচ্ছেন অ্যাডামস। ছবি: এএফপি
গোল করার পথে শট নিচ্ছেন অ্যাডামস। ছবি: এএফপি

রিপ ভ্যান উইংকলের মতো ২০ বছর ঘুমোনোর দরকার নেই। এক যুগ হলেই হয়। ঘুম ভাঙার পর যখন জানবেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে লাইপজিগ, মনে হতেই পারে এই দলটা আবার কোথাকার? কখনো তো নাম শুনিনি!

আসলে লাইপজিগের উন্নতির গ্রাফ দেখেই এই রসিকতা। ২০০৯ সালে আলোর মুখ দেখে জার্মান ক্লাবটি। পরের বছর উঠে আসে চতুর্থ বিভাগে। তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ হয়ে ছয় বছরের মাথায় তারা বুন্দেসলিগায় জায়গা করে নেয়। পরের বছর আরেকটু হলে তারা জিতে নিত জার্মানির শীর্ষস্থানীয় লিগ। অল্পের জন্য ফসকে যায়, রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর এবার তারা ইউরোপ-সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ চারে। কাল রাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠেছে লাইপজিগ। প্রতিষ্ঠার ১১ বছরের মাথায় এমন উত্থান।

সে জন্য টেলর অ্যাডামসকে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন লাইপজিগ সমর্থকেরা। ৮৮ মিনিটে জয়সূচক গোলটি এসেছে ২১ বছর বয়সী এ আমেরিকান মিডফিল্ডারের কাছ থেকে। ক্লাবের হয়ে এর মধ্যে ২৮ ম্যাচ খেলা অ্যাডামস গোলের খাতা খুললেন দলকে সেমিফাইনালে তোলার মধ্য দিয়ে। আর এ গোলটি সম্ভবত চ্যাম্পিয়নস লিগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো খেলোয়াড়ের করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলও। কেননা চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তিন খেলোয়াড় গোল করলেও কেউ কোয়ার্টার ফাইনালে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুধু একজন খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২০০৫ সেমিফাইনালে পিএসভি আইন্দোভেনের হয়ে এ অভিজ্ঞতা হয় ডিমারকাস বিসলির। নকআউট পর্বে বিসলি ছাড়াও গোল পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ ও জার্মেইন জোনস, তবে সবগুলো গোলই শেষ ষোলোয়। কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাডামসই প্রথম গোল করা মার্কিনি। সেটিও ম্যাচের ৭২ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নেমে। অ্যাডামস খুব স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ রোমাঞ্চিত। তবে সেমির ম্যাচটা মাথায় রাখছেন তিনি, ‘আমরা ভীষণ ভীষণ উত্তেজনায় আছি। প্যারিস কিন্তু ভালো দল। ওরা আটালান্টাকে ওরা যেভাবে হারিয়েছে এবং খুব ভালো খেলোয়াড় আছে তাদের।’

নিউইয়র্ক রেড বুলসের যুব প্রকল্প থেকে উঠে আসা অ্যাডামস গত বছর ৩ মিলিয়ন ডলারে যোগ দেন লাইপজিগে।