নাগলসমানের সঙ্গে ঝগড়া বেঁধেছিল সিমিওনের

নাগালসমানকেও নিজের লড়াকু মনোভাব দেখিয়ে দিয়েছেন সিমিওনে। ছবি: রয়টার্স
নাগালসমানকেও নিজের লড়াকু মনোভাব দেখিয়ে দিয়েছেন সিমিওনে। ছবি: রয়টার্স

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো পারলেনই না। লিওনেল মেসির ভাগ্যটাও জানা যাবে। কিন্তু ইউলিয়ান নাগলসমান ঠিকই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছেন এবার। দুই তারকা ফুটবলারের সঙ্গে একজন কোচকে মেলানোর কোনো যুক্তি হতে পারে না। তবু একটি চমকপ্রদ তথ্য এ দুজনের সঙ্গে তুলনা টেনে দিচ্ছে। গতকাল আরবি লাইপজিগকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের স্বাদ এনে দেওয়া কোচ বয়সে এ প্রজন্মের সেরা দুই খেলোয়াড়ের চেয়ে ছোট।

পেশাদার ফুটবলে কোচিং করানো শুরু করার পর থেকে নাগলসমানকে নিয়মিতই এমন তুলনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোচিং দক্ষতা কখনোই প্রশ্নের মুখে ওঠেনি। মধ্য ত্রিশে পা রাখার আগেই একজন কোচকে রিয়াল মাদ্রিদ যেচে দায়িত্ব দিতে চাইছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা দেখিয়ে রিয়ালকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাগলসমান। জার্মান ফুটবল তো বহুদিন ধরেই তাঁর কারিশমা দেখেছে, গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পুরো বিশ্ব দেখল সেটা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে পিএসজির বিপক্ষে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল লাইপজিগ।

প্রতিপক্ষ দলের নাম অ্যাটলেটিকো বলেই জয়টা আরও বেশি অর্থবহ। নিজস্ব ঘরানার ফুটবল দিয়ে কোচ ডিয়েগো সিমিওনে ইউরোপেও আতঙ্কের নাম। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে সিমিওনে হারানোর রহস্যটা জানা ছিল না প্রায় কারওরই। এ কাজটা যে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা রোনালদোই করে দেখিয়েছেন এত দিন। সেই সিমিওনের অ্যাটলেটিকোকে কাল হারিয়ে দিয়েছেন নাগলসমান। তবে প্রথমার্ধ শেষেই সিমিওনের সঙ্গে লড়ার ঝাঁজটা টের পেয়েছেন জার্মান কোচ। ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘ম্যাচ শেষে সিমিওনে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মন থেকে জানিয়েছেন। বলেছেন, এটা দারুণ একটা ম্যাচ ছিল এবং আমাদের জয় প্রাপ্য ছিল। বিরতিতে আমাদের মধ্যে হালকা কথা-কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু ওটা তেমন বড় কিছু নয়। তিনি দুর্দান্ত এক বিজয়ী, যিনি ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথেও জিততে চান। কিন্তু এটা খারাপ না। আমার মনে হয় কোচ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিত্ব অসাধারণ। তাই, এটা তেমন কিছু না।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জার্মান ক্লাবের উপস্থিতি মানেই গত কিছুদিন বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কথা ভাবে সবাই। ২০১০-১১ মৌসুমে রাউলের শালকের পর প্রথম দল হিসেবে সেমিতে পা রাখল উঠতি শক্তি লাইপজিগ। নাগলসমানের স্বপ্নটা অবশ্য আরও বড়, ‘আমি এখনই শিরোপা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমরা অবশ্যই ফাইনাল খেলতে চাই এখন। এটাই স্বাভাবিক। যদি সেখানে যেতে পারি, তাহলে আমরা অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলব।’