ব্রাজিলকে ৭ গোল দেওয়ার ম্যাচেও এত দাপট দেখাননি মুলাররা

গতকাল বার্সেলোনার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন টমাস মুলার। ছবি: এএফপি
গতকাল বার্সেলোনার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন টমাস মুলার। ছবি: এএফপি

ম্যাচ শুরুর আগে কি এতটা ভেবেছিলেন টমাস মুলার? বার্সেলোনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই তো মাঠে নেমেছিলেন। সেই লক্ষ্য ভালোভাবেই পূরণ হয়েছে। কিন্তু এত এত রেকর্ড, আর বেলো হরিজন্তের স্মৃতি এভাবে ফিরিয়ে আনবে ম্যাচটি তা মনে হয় বুঝতে পারেননি জার্মান ফরোয়ার্ড।

ব্রাজিলের বিপক্ষে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির ৭-১ গোলের অন্যতম নায়ক ছিলেন মুলার। ১১ মিনিটে সেদিন ম্যাচের গোল উৎসবের শুরুটা করেছিলেন তিনিই। কালও তাই, বার্সেলোনার বিপক্ষে কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে পরেও করেছেন আরেক গোল।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মুলারের হাতে। ম্যাচ শেষে নিজের উচ্ছ্বাস এতটুকু গোপন রাখেননি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ওই বিখ্যাত ম্যাচের সঙ্গে তুলনা উঠতেই বললেন, '২০১৪ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষেও আমরা ম্যাচ এভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। ওটা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আজ সেটা নিয়ে কথা না বলি। বরং আজকের ম্যাচ নিয়ে কথা বলি। এটা একটা বিশেষ রাত। ম্যাচের ফল এবং যেভাবে আমরা খেলেছি সব কিছুই বিশেষ ছিল।'

বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে একটা ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন মুলার। ৩০ বছর বয়সী মুলার লিসবনে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। জার্মান ফুটবলারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড মুলারের। ফিলিপ লামকে ছাড়িয়ে কাল খেলেছেন ক্যারিয়ারের ১১৩তম ম্যাচ। অবশ্য রেকর্ড নিয়ে মোটেও আগ্রহ নেই মুলারের, 'আমাদের রেকর্ড নিয়ে কথা বলা বন্ধ করা উচিত। এটা শুধুই একটা পরিসংখ্যান। বরং এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলার মতো আরও চমৎকার অনেক কিছু আছে।'

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোচের সব পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরে খুশি মুলার , 'আপনি কখনোই বার্সেলোনাকে পুরোপুরি আটকে দিতে পারবেন না। তবে আমরা তাদের মাঝমাঠকে সত্যিকার অর্থেই কোনো জায়গা দিইনি। আমাদের দলীয় বোঝাপড়া চমৎকার ছিল এবং আমরা মাঠে যা করতে চেয়েছি সেটাই করেছি। কাজটা করার জন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে।'

এখানেই থেমে থাকতে চান না মুলার। এবার চোখ রাখছেন শিরোপায়, 'এমন চাপের মধ্যে আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি খুশি। তবে আমাদের নিজেদের চাঙা করে তুলতে হবে। আজ আমরা নিজেদের চিনিয়েছি কিন্তু পরের ম্যাচ ঠিকই ০-০ স্কোরলাইনে শুরু হবে। এ ম্যাচের ফলের তখন কোনো গুরুত্ব নেই। আর সেমিফাইনালে যারা খেলে তারা সাধারণত আরও ভালো খেলে। আপাতত আমরা হাসিমুখে ঘুমাতে যেতে পারি এবং এই পরিবেশটা উপভোগ করতে পারি। কিন্তু আমরা টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চাই।'

সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি বা লিওঁর বিপক্ষে খেলবে বায়ার্ন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি মাথার ওপর তুলে ধরেই থামতে চান মুলার।