শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে শ্রদ্ধা হারালেন সিলভা

ম্যানচেস্টার সিটি থেকে কিংবদন্তি হিসেবে বিদায় নিলেও লাৎসিও ক্লাবের সঙ্গে সিলভার আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ অনেকের চোখে।ছবি: রয়টার্স

দলবদলের বাজারে ফ্যাব্রিজিও রোমানো এখন সবার জন্য আস্থার জায়গা। এই সাংবাদিকের ‘হিয়ার উই গো’ টুইটের অপেক্ষায় থাকেন ইউরোপিয়ান ফুটবল সমর্থকেরা। কারণ, অন্য সব টুইটে দল বদল নিয়ে আভাস থাকলেও রোমানোর ‘শুরু হলো...’ লেখা দিয়ে শুরু কোনো টুইট মানেই এই দলবদলটা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। দলবদলের গুঞ্জনে টুইটারে যখন কান পাতা দায়, তখন একমাত্র বিশ্বাস রাখার মতো টুইট দেওয়ার দাবি করতে পারেন ইতালিয়ান এই সাংবাদিক।

সেই রোমানোও কাল স্তব্ধ হয়ে গেলেন। গত কয়েক দিন ধরে ডেভিড সিলভার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা কথাই বলছিলেন তিনি। আর সেটা হলো ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে এক দশক কাটানোর পর নতুন ক্লাব হিসেবে ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্পনা সিলভার। মাঝে আল সাদ ক্লাবের নাম শোনা গেলেও লাৎসিওর সঙ্গেই কথা পাকা হওয়ার খবর এসেছিল। রোমানো আরও জানিয়েছিলেন তিন বছরের চুক্তিতে লাৎসিওতে যাওয়ার ব্যাপারে কথা পাকা হয়ে আছে সিলভার। বছরে কর কেটে রাখার পর ৪ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া হবে, সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত বিমানের ব্যবস্থাও রাখা হবে সিলভার জন্য।

এমন পাকা খবরকে উড়িয়ে দিয়ে সে সিলভা গেলেন রিয়াল সোসিয়েদাদে! স্প্যানিশ ক্লাব বেশ আয়োজন করে এই প্লেমেকারকে দলে টানার খবর জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সিলভার স্পেনে ফেরার খবরে খুশি হয়ে টুইট করেছেন স্বয়ং ইকার ক্যাসিয়াস। কিন্তু যেভাবে এ দলবদলটা হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন অন্যদের পক্ষে। প্রকাশ্যে লাৎসিওর সঙ্গে কথা চালিয়ে গেছেন সিলভা। এমনকি রোমে তাঁর মেডিকেল হওয়ার কথাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকা চুক্তির খুঁটিনাটি দিয়ে প্রতিবেদনও ছাপিয়েছে। এরই আড়ালে গোপনে সোসিয়েদাদের সঙ্গে চুক্তির কাজ করেছেন সিলভা।

খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে অনেক শ্রদ্ধা করি কিন্তু মানুষ সিলভাকে আর করি না।
ইগলি তারে

সিলভার এভাবে রং বদলানো একদম মেনে নিতে পারেননি লাৎসিওর ক্রীড়া পরিচালক ইগলি তারে। পুরো দলবদলের কাজটা নিজ হাতে সামলাচ্ছিলেন তারে। কিন্তু তাঁকে কথা দিয়েও এভাবে অন্য এক দলে চলে যাওয়া ক্ষুব্ধ করে তুলেছে ইতালিয়ান ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালককে। ক্ষেপে গিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিই দিয়েছেন। ক্লাবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘রিয়াল সোসিয়েদাদে ডেভিড সিলভার যাওয়ার খবর জানলাম। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে অনেক শ্রদ্ধা করি কিন্তু মানুষ সিলভাকে আর করি না।’

এভাবে দলবদলের পাকা কথা দিয়েও শেষ মুহূর্তে অন্য ক্লাবে যাওয়ার খবর নতুন কিছু নয়। দুই মৌসুম আগে বোর্দো থেকে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ম্যালকমকে দলে নিয়েই দিয়েছিল রোমা। এমনকি তাকে আনতে বিমানও পাঠিয়ে দিয়েছিল দলটি। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার ডাক শুনে মাথা ঘুরে গিয়েছিল ম্যালকমের। পাকা কথা দেওয়ার পরও রোমায় না গিয়ে বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন এই ফুটবলার। ব্যর্থ এক বছর শেষেই অবশ্য বার্সা ছাড়তে হয়েছিল ম্যালকমকে।