হেরেও সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পরও এরকম হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের। ছবি: রয়টার্স
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পরও এরকম হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের। ছবি: রয়টার্স

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়-সমর্থকেরা। ডাগআউটে হাততালি দিতে দেখা গেল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে ম্যাচটা তারা হেরে গেছে ২-০ গোলে। অন্যদিকে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হারিয়েও উল্লাসে মেতে উঠলেন না বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা। ডর্টমুন্ড শিবিরে থাকল আর একটি গোল না করতে পারার হতাশা।

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে যেতে হলে নতুন এক রেকর্ডই গড়তে হতো ডর্টমুন্ডকে। এর আগে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর কোনো দলকেই ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু আজ মনে হচ্ছিল সেই অসম্ভব কাজটাই করে ফেলবে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। প্রায় পুরো ম্যাচেই দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ‘একটুর জন্য হলো না’ গোছের আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রাউস-লেভানডফস্কিদের। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয় দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের খেলায় রিয়াল মাদ্রিদ ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে। কিন্তু আজ তাদের খেলা দেখে সেকথা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয়েছে। প্রথমার্ধে বলার মতো কোনো আক্রমণই শানাতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। উল্টো ১৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি মিস করেছিলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ৩৭ মিনিটের মধ্যে ডর্টমুন্ড দুই গোলে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়ালের রক্ষণভাগের ভুলে।

২৪ মিনিটে পেপের দুর্বল হেড থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন মার্কো রাউস। রিয়ালের গোলরক্ষক ক্যাসিয়াসকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়াতে কোনোই ভুল করেননি এই জার্মান মিডফিল্ডার। ৩৭ মিনিটে ডর্টমুন্ডের দ্বিতীয় গোলটি হয়েছে জাবি আলোনসোর ভুল পাসের কারণে। রাউস আর লেভানডফস্কির দুর্দান্ত সমন্বয়টা ছিল দেখার মতো। রাউসের পাস থেকে বল পেয়ে লেভানডফস্কির নেওয়া শট ফিরে এসেছিল গোলপোস্টে লেগে। ফিরতি বলটাই আবার জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন রাউস।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রিয়াল। কিন্তু যে দুই-একটি গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি গ্যারেথ বেল-করিম বেনজেমারা। ইনজুরির কারণে রোনালদোর অনুপস্থিতিটাও চোখে পড়েছে খুব স্পষ্টভাবেই। ৫৯ মিনিটে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলে বেল। কিন্তু শেষপর্যন্ত বলটা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি। কয়েক মুহূর্ত পরেই নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন বেনজেমা।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল ডর্টমুন্ডের সামনেও। ৬৪ মিনিটে ফাঁকা জালে বল জড়াতে পারেননি মিখাটারিয়ান। ডর্টমুন্ডের এই মিডফিল্ডারের শট ফিরে এসেছে গোলপোস্টে লেগে। ৬৮ থেকে ৭০, এই দুই মিনিটের মধ্যে মিখাটারিয়ানের আরও দুইটি শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন ক্যাসিয়াস। প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটেও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন মিখাটারিয়ান।