দুর্দান্ত জয়ে সেমিফাইনালে চেলসি

বিদায়ের আশঙ্কায় দুলতে থাকা চেলসিই পেয়ে গেল সেমিফাইনালের টিকিট। এমন উল্লাস তো তাদেরই মানায়। ছবি: রয়টার্স
বিদায়ের আশঙ্কায় দুলতে থাকা চেলসিই পেয়ে গেল সেমিফাইনালের টিকিট। এমন উল্লাস তো তাদেরই মানায়। ছবি: রয়টার্স

২০১১-১২ মৌসুমের স্মৃতিটাই নতুন করে ফিরিয়ে আনল চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও একবার ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত অধ্যায়ই লিখে ফেলল ইংল্যান্ডের অন্যতম প্রধান এই ক্লাবটি। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়লেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। আজ বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলায় নিজেদের মাঠে তারা জিতেছে ২-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলের সমতা। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে গোল দেওয়ার কৃতিত্বে সেমিফাইনালের টিকিটটা উঠেছে চেলসিরই হাতে।

এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমে নাপোলির বিপক্ষেও চেলসি পিছিয়ে পড়েছিল ৩-১ গোলে। সেটা ছিল শেষ ষোলোর লড়াই। দ্বিতীয় লেগে বহু নাটকীয়তার পর চেলসি জিতেছিল ৪-১ গোলে। এবার অত জটিলতার মধ্যে যেতে হয়নি চেলসিকে। আগেই জানা ছিল যে, সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সবচেয়ে সহজতম পথ হচ্ছে দ্বিতীয় লেগের খেলায় ২-০ গোলে জেতা। ঠিক সেই কাজটাই করেছে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন আন্দ্রে শুরলে। আর একেবারে শেষমুহূর্তে, ৮৭ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেছেন সেনেগালের স্ট্রাইকার ডেমবা বা।

২০১১-১২ মৌসুমে নাপোলির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে চেলসি শুধু কোয়ার্টার ফাইনালই নিশ্চিত করেনি, সেই আসরে তারাই শেষপর্যন্ত শিরোপা জিতেছিল। সেমিফাইনাল, ফাইনালে হারিয়েছিল বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখকে। এবারও কী চেলসি তেমন কিছুই করতে যাচ্ছে?