'মানকাডে' সমস্যা নেই: ক্লার্ক

মাইকেল ক্লার্ক
মাইকেল ক্লার্ক

ব্যাপারটি সব সময়ই বিতর্কিত। নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়েছে বলেই তাঁকে রানআউট করে দিতে হবে—এমন ব্যাপার ক্রিকেটে আইনসিদ্ধ হলেও নৈতিকভাবে কখনোই সমর্থনযোগ্য ছিল না। বরং যুগে যুগে এই আউটকে ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ আখ্যা দিয়ে একটা নাক সিঁটকানো ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে।
ভিনু মানকড় এই কাণ্ডের হোতা। ভারতীয় এই ক্রিকেটারই ১৯৭৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে আউট করেছিলেন বিল ব্রাউনকে। ক্রিকেটের আইন যেখানে এর বিরুদ্ধাচরণ করছে না, সেখানে অযথা ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করার কোনো কারণ সেদিন ভিনু মানকড় দেখেননি। মানকড়ের কারণেই ক্রিকেটের ভদ্রলোকেরা একে ‘মানকাড’ রানআউট হিসেবে অভিহিত করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কান স্পিনার সচিত্র সেনানায়েকের ‘মানকাডিং’ ব্যাপারটিকে আবারও আলোচনায় এনেছে। প্রায় ২২ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘটা এই ঘটনায় সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড় উঠেছে ক্রিকেট বিশ্বে। ক্রিকেটে চির দিনই ‘জেন্টেলম্যানশিপে’র প্রতীক ব্রিটিশরা ব্যাপারটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চকণ্ঠ। নিজেদের দলের বিপক্ষে হয়েছে বলে এনিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমেই যেন তোলপাড়টা বেশি।
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অবশ্য এ ধরনের রানআউটে কোনো ‘সমস্যা’ দেখেন না। তবে একটিবার অন্তত নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি।

কোনো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এই ব্যাপারটি করতেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক ক্লার্ক। তবে ব্যাপারটি ভদ্রতার ছলে উড়িয়েও দেননি তিনি, ‘এটা বলাটা অন্যায় হবে যে আমার অধিনায়কত্বে এমন কিছু ঘটবে না। এ নিশ্চয়তাও আমি দিতে পারি না।’ এক দিক দিয়ে ক্লার্ক বলেই দিয়েছেন, সুযোগ পেলে এ ধরনের আউটে আপত্তি নেই তাঁর।

পুরো বিষয়টিকে আইনের চোখে দেখারই আহ্বান ক্লার্কের, ‘এ ধরনের আউট আইনবিরুদ্ধ নয়। এদিকে দিয়ে দেখলেই কিন্তু হয়ে যায়। আপনি অন্যায় তো কিছু করছেন না।’
ইংলিশ অধিনায়ক অবশ্য সেনানায়েকের এই ‘কাণ্ডে’ বেশ মর্মাহতই হয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সেনানায়েকে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। এমন সে না করলেও পারত।’
এই আউটের ব্যাপারে নিজের হতাশাও ব্যক্ত করেছিলেন ক্লার্ক, ‘আমি কোনো দিন আমার ক্যারিয়ারে এই ধরনের আউট হতে দেখিনি।’