স্বস্তি ও সান্ত্বনা

কেইলর নাভাস, গঞ্জালো হিগুয়েইন
কেইলর নাভাস, গঞ্জালো হিগুয়েইন

দলকে জয় এনে দেওয়া গোল করেছেন একজন। যে গোল আবার তাঁর নিজের কাছে বহুকাঙ্ক্ষিত, দলের জন্য প্রতীক্ষিত। দলের পরাজয়ে বীরোচিত পারফরম্যান্স আরেকজনের। পরশুর ম্যাচসেরা গঞ্জালো হিগুয়েইন ও কেইলর নাভাস। একজনের জন্য স্বস্তির স্বীকৃতি, আরেকজনের সান্ত্বনা!
আর্জেন্টিনার জার্সিতে গোলের হার যথেষ্টই ভালো হিগুয়েইনের। গত বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছেন, এবার বাছাইপর্বে করেছেন ৯ গোল। তার পরও একটি গোলের জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন গত কিছুদিন। সেই আগস্টের পর আর গোল পাননি দেশের হয়ে। বিশ্বকাপে এসে সেই গোলখরা রূপ নিয়েছিল হাহাকারে। তাঁর নিজের, দলেরও। কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা অবশ্য আস্থা রেখে গেছেন। সেটির প্রতিদানই দিলেন পরশুর দুর্দান্ত গোলে। গোল পেতে পারতেন অন্তত আরও দুটি।
এই বিশ্বকাপের নাভাস যেন হিগুয়েইনের উল্টো। প্রথম ম্যাচ থেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। লেভান্তের হয়ে লা লিগার পারফরম্যান্সটাই টেনে এনেছিলেন বিশ্বকাপে। রক্ষণভাগ ভালো খেলেছে পরশুও, তবে কোস্টারিকা ম্যাচটি টাইব্রেকার পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছিল গোলবারে একজন নাভাস ছিলেন বলেই। বিদায়েও যেমন গর্ব করতে পারে কোস্টারিকা, তৃতীয়বারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচের ট্রফি নিয়ে মাথা উঁচু করেই দেশে ফিরতে পারেন নাভাস।