প্রকৃতিও বাধা অস্ট্রেলিয়ার

অ্যাশেজ
অ্যাশেজ

রোদ ঝলমলে সকালে বাধা হলেন ম্যাট প্রায়র ও স্টুয়ার্ট ব্রড। গুমোট বিকেলে বাধা ম্যানচেস্টারের প্রকৃতি। অস্ট্রেলিয়ার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার মিশনে বাধা হয়ে কান্না জুড়ে দিল ওল্ড ট্রাফোর্ডের আকাশ। বৃষ্টিবিরতিতে চা-বিরতিটা সেরে ফেলে তবু সময় কিছুটা বাঁচানো গেল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশায় কালো মেঘ হয়ে এল ম্যানচেস্টারের মেঘলা আকাশ। বিকেলবেলাতেই যেন অন্ধকার চারপাশ। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ। আম্পায়ারের সঙ্গে খানিকটা তর্ক করে মাইকেল ক্লার্ক মাঠ ছাড়লেন ভ্রু কুঁচকে। এর পর আর খেলাই হলো না। কালো মেঘের আড়ালে কি তবে হারিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ কেড়ে নেওয়ার স্বপ্নটাও! স্বপ্নে বড় একটা ধাক্কা হয়ে সকালে ম্যাট প্রায়র ও স্টুয়ার্ট ব্রডের জুটি। অষ্টম উইকেটে দুজনের ৫৮ রানেই ফলোঅন এড়িয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। প্রায়র-অ্যান্ডারসনের শেষ উইকেট জুটিও যন্ত্রণা কম দেয়নি। জুটিতে এসেছে মাত্র ১৫, কিন্তু খেয়ে নিয়েছে আধঘণ্টার বেশি সময়। অস্ট্রেলিয়ার লড়াইটা তাই শুধু ইংলিশ বোলার নয়, ছিল সময়ের সঙ্গেও। নিয়মিত উইকেট হারালেও রান উঠেছে ওভারপ্রতি সাড়ে চারের বেশি করে। প্রথম ইনিংসের ১৫৯ রানের সঙ্গে মিলিয়ে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় লিড ছিল ৩৩১। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিন শ তাড়া করেও কেউ জেতেনি কখনো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার লড়াইটা যে এখন প্রকৃতির সঙ্গেও! দিনের খেলার তখনো বাকি ছিল ৩২ ওভার। রানটা আরও কিছু বাড়িয়ে শেষ বিকেলে ২-৩টি উইকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতে পারত আদর্শ। সেই সুযোগটা আর পেলই না প্রথম দুই টেস্ট হেরে পিছিয়ে পড়া দলটি। খুব বেশি দিন নয়, এই তো বছর পাঁচেক আগেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে রান তাড়ার রেকর্ডটি গড়েছিল ইংল্যান্ড। ২৯৪ রান তাড়া করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল ৬ উইকেটে। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে সেই রান তাড়ার নায়ক ছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। কাল ধারাভাষ্যকক্ষে বসে সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তবে জয়টা মনে হয় কুক-ট্রটদের মাথায় থাকবে না। হিসাবটা সহজ—টিকে থাকো শেষ দিন। অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত তাতেই। এই লড়াইয়ে ইংলিশদের ভরসা জোগাচ্ছে আবহাওয়াও। পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে শেষ দিনেও। ওয়েবসাইট।